জুলফিকার জাহিদ।।
পাকিস্তানের শিয়ালকোটের কেন্দ্রীয় কবরস্থান চণ্ডী এখন সাধারণ এবং সর্বস্তরের মানুষের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কবরস্থানটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। এখানে প্রায় ২০০ জাতের ১০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে।
কবরস্থানে আগতদের বক্তব্য হল, এটা এক অনন্য কবরস্থান, এখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়, এই কবরস্থানে স্বজনদের কবর জিয়ারতে এসে এক ধরনের তৃপ্তি অনুভব করি।
প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাপনার সাথে শিয়ালকোটের কেন্দ্রীয় কবরস্থান চণ্ডীতে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক কুরআন তেলাওয়াত চালু থাকে। কবরস্থানে ৯৯ টি পিলারে আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম লেখা হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই কবরস্থানটি পরিচালনা করেন।
[caption id="attachment_222608" align="alignnone" width="500"] কবরস্থানের ভেতরের দৃশ্য।[/caption]
কবরস্থানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা শাহবাজ আহমেদ বলেন, বর্তমানে শিয়ালকোটের অন্যতম কবরস্থান হিসেবে পরিচিত হলেও জঙ্গলের ভেতরে থাকা কবরস্থানটি এক সময় অনেকটা ভূতুড়ে ছিল, স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে আসতে ভয় পেতেন মানুষজন।
কিছু পরিচিত বন্ধু-বান্ধব মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নেই, এই কবরস্থানকে একটি অনন্য কবরস্থান হিসেবে গড়ে তুলবো, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করি।
[caption id="attachment_222607" align="alignnone" width="500"] কবরস্থানের ব্যবস্থাপক শাহবাজ আহমেদ।[/caption]
তিনি জানান, ৮ একর জায়গার উপর কবরস্থানটি অবস্থিত, এতে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য সাতটি গেট রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিস্তৃত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। গাছপালা বৃদ্ধি ও কবরস্থানটিকে পরিবেশবান্ধব করতে এর ভেতরেই একটি নার্সারি আছে, যেখান থেকে প্রতিবছর পাঁচ হাজার উদ্ভিদ উৎপাদিত হয়।
শিয়ালকোটের কেন্দ্রীয় কবরস্থান চণ্ডীতে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নিহতদের কবর রয়েছে।
সূত্র: সামা নিউজ
এনটি