রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

যশোরে শনাক্তের রেকর্ড, আরো কঠোর বিধিনিষেধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনায় যশোরে রেকর্ডসংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে মঙ্গলবার। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় নতুন করে ২৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জন ভারতফেরত। এটি জেলায় একদিনের সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এ ছাড়া মারা গেছেন তিনজন।

সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। বিধিনিষেধ বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ২৩ জুন রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত বাড়িয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।

নতুন আরোপিত বিধি নিষেধের বাড়ানো হয়েছে এলাকা। আগের বিধিনিষেধে ছিল যশোর সদর পৌরসভা ও অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভা। নতুন আরোপিত বিধিনিষেধে আরো দুটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন যোগ হয়েছে।

সেগুলো হলো, ঝিকরগাছা উপজেলার ঝিকরগাছা পৌরসভা ও ভারত সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌরসভা। চার ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার চাঁচড়া, উপশহর, আরবপুর ও নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ও শার্শা উপজেলার শার্শা ইউনিয়ন। এ ছাড়া যশোর জেলা অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাসসহ যাত্রী বহনকারী গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো.সায়েমুজ্জামান।

যদিও উচ্চঝুঁকির কারণে যশোরের দুটি পৌরসভায় চলমান লকডাউন মানেনি সাধারণ মানুষ। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহনেওয়াজ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ। মারা গেছেন তিনজন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আখতারুজ্জামান জানান, নিহতদের মধ্যে একজন করোনা রোগী এবং অপর দুজন করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদিন তিনজনসহ গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৫ জন।

এদিকে করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে যশোর পৌরসভা ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় কঠোর বিধিনিষেধ চললেও তা মানছে না সাধারণ মানুষ। স্বাভাবিক দিনের মতোই শহরের রয়েছে মানুষের চলাচল।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরে সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোরতা আরোপ করা হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ