রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

ইসরায়েলের নতুন সরকার নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ভাবনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত রোববার নাফতালি বেনেটের নেতৃত্বে ইসরায়েলে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের এই নতুন সরকার থেকে বড় কোনো নীতিগত পরিবর্তন প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। কারণ, ইসরায়েলের নেতা পরিবর্তন হলেও নীতি পরিবর্তন হয় না।

ইসরায়েলের নতুন সরকার নিয়ে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক নেতারা এমন মন্তব্য করেছেন। এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন নিয়ে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মতামতের ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে।তবে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি বলেছেন, নাফতালি বেনেট তার পূর্বের প্রেসিডেন্ট বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর থেকে ভিন্ন হবেন না।

ফিলিস্তিনের ৩৩ বছর বয়সী ওসমান ইসরায়েলের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিদায়কে স্বাগত জানান। এটাকে তিনি বিশাল অর্জন হিসেবে মন্তব্য করেন।

আরব নিউজকে ফিলিস্তিনের এই যুবক বলেন, ক্ষমতায় কে আসলো সেটা দেখার চেয়ে; যেকোনো স্বৈরাচারের বিদায়কে পজেটিভ হিসেবে দেখা উচিত। ইসরায়েলিরা কখনও ফিলিস্তিনিদের পক্ষ সমর্থন করে না।

গত রোববার নাফতালি বেনেটের নেতৃত্বধানী জোট ইসরাইলে নতুন সরকার গঠন করে। সামান্য ব্যবধানে তারা সরকার গঠন করার সম্মতি পান। এর মাধ্যমে ইসরায়েলে বিন ইয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে। তবে তিনি এখন বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন।

ইসরায়েলের নতুন সরকারে সংসদ নেসেটে এবং ইসরায়েলের সমাজের মধ্যে শক্ত ভিত নেই বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

ফিলিস্তিনি যুবক মোহাম্মদ সুলতান বলেন, নেতানিয়াহু ইসরায়েলের শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। ফিলিস্তিন নিয়ে তিনি সমাধানে পৌঁছাতে পারতেন । কিন্তু নতুন সরকারের আমলে গাজা উপত্যকায় বড় কোনো অর্জন হবে না। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের ইতিহাসে রবিন, শ্যারন, নেতানিয়াহুর মতো শক্তিশালী নেতারাই ‘যুদ্ধ কিংবা শান্তি’র পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন।

২০০৭ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ইসরায়েল অঞ্চলটিতে সড়ক, নৌ এবং আকাশপথে অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর থেকে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চারটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের নতুন সরকারের কাছ থেকে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসও পজেটিভ কোনো প্রত্যাশা করছে না।

ফিলিস্তিনের আরেক সংগঠন ইসলামি জিহাদের মুখপাত্র তারিক সালমি বলেন, ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের হত্যা এবং তাদের অধিকার দাবিয়ে রাখতে এক্যবদ্ধ। তবে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের ফলেই নেতানিয়াহুর পতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ফিলিস্তিনের আরেক জনপ্রিয় সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টিন বলেছে, নাফতালি বেনেট এবং ইয়ার লাপিদের সরকার ফিলিস্তিনে কোনো কিছু পরিবর্তন করবে না। এটাকে তারা নেতানিয়াহু সরকারেরই সম্প্রসারিতরূপ হিসেবে উল্লেখ করেন।

আরব নিউজের খবরে আরও বলা হয়েছে, অধিকাংশ ফিলিস্তিনিই একমত যে, নিরাপত্তা এবং সামরিক পদ্ধতি দ্বারা ইসরায়েল শাসিত হয়। সুতরাং তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং দখলদারিত্ব পরিহার করবে না।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ