আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: থেমে থেমে রোদ-বৃষ্টি আর যানজটে আষাঢ়ের প্রথম দিন কাটল রাজধানীবাসীর। সকাল থেকে দফায় দফায় কখনো হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং মাঝে মাঝে প্রচণ্ড রোদ। সাতসকালে যারা ঘর থেকে বেরিয়েছেন, তারা একদফা বৃষ্টিতে ভিজেছেন।
আবার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সূর্যতাপে ভেজা জামা-কাপড় শুকিয়েছেন। বৃষ্টির কারণে নগরের কিছু কিছু রাস্তায় ছিল তীব্র যানজট। আবার কোনো কোনো সড়ক ছিল তুলনামূলক ফাঁকা। মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
আষাঢ়ের প্রথমদিনের সকালটি ছিল মেঘে ঢাকা। সাতসকালেই বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে রাজধানীর মহাখালী ও বনানী হয়ে বিমানবন্দর রুটে যানবাহনের তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘যানজটের কারণে আজ সকালের দিকে বেশ কয়েকটি ফ্লাইটে যাত্রীদের ফ্লাইট মিস করার অবস্থা তৈরি হয়। অনেকেই সময় হাতে নিয়ে বের হলেও বিমানবন্দর সড়কে অতিরিক্ত যানজটের কারণে বিপাকে পড়েন।’
সকালের দিকে বৃষ্টিস্নাত আষাঢ়ের দেখা মিললেও বেলা ১১টার পরই হঠাৎ করে প্রখর রোদে পুড়তে হয়েছে রাজধানীর বাসিন্দাদের। রোদের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষকে ঘামতে দেখা যায়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে যানজট তৈরি হয়।
বিভিন্ন সিগন্যালে যানবাহনকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দুপুর দেড়টার পর ও বিকেলের দিকে আরও এক দফা ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি নামে। অনেকেই পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় ছাতা-মাথায় চলাফেরা করেন।
অনেকেই আবার বৃষ্টি নামলে কাকভেজা হওয়া থেকে রক্ষা পেতে গাছের বা বিভিন্ন দোকানের সামনে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় থাকেন।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী লালবাগের বাসিন্দা আবু হাসনাত বলেন, আষাঢ়ের প্রথম দিনে সকালে অফিসে যাওয়ার পথে বৃষ্টিভেজা হতে হয়। বিকেলে অফিস ছুটি শেষে ফেরার পথেও আরেক দফা বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরেছি।
এনটি