আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে জানতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য চাওয়া হলেও তারা তথ্য সরবরাহ করেনা বলে অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)
মন্ত্রণালয়সহ দেশে-বিদেশে পাচারকারীদের বিষয়ে তথ্য না পাওয়াকে অর্থপাচারের তদন্তের বড় বাধা হিসেবে দেখছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তদন্তে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের প্রয়োজনের কথাও বলেন তিনি।
গত নভেম্বরে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন কানাডার 'বেগমপাড়ায়' বাংলাদেশের সরকারি আমলা এবং রাজনীতিকদের বাড়িঘর বানানোর তথ্য দেন। পরে কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের বিষয়ে জানতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় দুদক। অর্থপাচার নিয়ে উত্তপ্ত হয় সংসদও।
মঙ্গলবার দুদক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন-র্যাক এর সদস্যদের সাথে পরিচিতি সভায় সংস্থাটির চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ প্রশ্নের উত্তরে বলেন, অর্থপাচারের বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট তথ্য পাচ্ছেন না। কোথায় কত টাকা পাচার হচ্ছে সেই তথ্য আমাদের দিতে হবে। এসব তথ্য আমাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
যেসব অভিযোগ আসে, তার ভিত্তিতে আমরা কাজ করি। মানিলন্ডারিং এর বিষয়ে আমাদের কাছে সাধারণত তথ্য আসতে হয়। এ ব্যাপারে যেসব তথ্য থাকতে হয়, তা সাধারণত ডকুমেন্টরি হয়। তা সঠিকভাবে পেলে আমাদের মামলায় হারার কোনো সুযোগ নাই। এ কারণে এসব মামলায় আমরা সাফল্যও পাচ্ছি।'
কয়েক মাস আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি গেলেও তার উত্তরও এখনো আসেনি। এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, 'হাইকোর্ট আমাদের কাছে তালিকা চেয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে কোনও তালিকা নেই। আমরা এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি তাদেরকে তাগিদও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোনও সাড়া পাইনি।'
সীমাবন্ধতা থাকলেও পাচারসহ সকল দুর্নীতি বন্ধে দুদক তৎপর বলে জানান দুদকের কর্মকর্তারা। দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, এসব দুর্নীতির সঙ্গে আমরা কোন আপস করতে চাই না। দুর্নীতি করে যে পরিমাণ অর্থের অপচয় হয় বড় বড় প্রকল্পগুলো সেই টাকা দিয়ে করা সম্ভব।
দুদক কমিশনার (তদন্ত) মোহাম্মদ জহুরুল হক বলেন, 'আমরা বড় দুর্নীতি নিয়ে বসে আছি। দুর্নীতির টাকা যদি দেশের মধ্যে থাকে তাহলে যে ক্ষতি হয়, তারচেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা দেশের বাইরে পাচার হলে।'
দুদকের কর্মকর্তারা জানান, অর্থপাচারের তদন্তের ক্ষমতা আগেরমতো কেবল দুদকের হাতে নেই। তবে, দুদক এ পর্যন্ত মানি লন্ডারিং আইনে যেসব মামলা করেছে তাতে সাজার হার শতভাগ।
-এটি