জুলফিকার জাহিদ।।
ভারতের মুম্বাইয়ে ঈদের আগে কোরবানির পশুর বাজারের অনুমতি পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তার কারণে এ বছর কোরবানি করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন মুসলমানরা।
কোন ধরণের বাধা-বিপত্তি ছাড়া মুম্বাই শহরে কোরবানির পশু প্রবেশের অনুমতি ও করোনার মহামারির স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসলমানদের কোরবানির অনুমতি দেওয়ার দাবি এখন তীব্র হচ্ছে বলে জানিয়েছে মিল্লাত টাইমস অনলাইন।
এদিকে এই বছরও মুম্বাইয়ের অন্যতম পশুর বাজার দেওনার কসাইখানার অনুমতি পাওয়া নিয়ে জটিলতার বিষয়টি নিয়ে এমপি আবু আসেম আজমী দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এখনও পর্যন্ত সরকার ও প্রশাসন এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি।
মুম্বাই শহরে কুরবানীর পশু বেচা-বিক্রির কারণে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
কিন্তু মুসলমানদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনা মহামারীর মধ্যেও কুম্ভ মেলার আয়োজন ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারলে কোরবানি পশুর বাজার বসার ক্ষেত্রে করণা মহামারীর অজুহাত কেন?
কোরবানির আগে পশু ক্রয় বিক্রয় নিয়ে মুম্বাইয়ের মুসলমানেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন দেওনার বাজারে কুরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমতি না দিলে কোরবানির পশুর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে, এতে করে সাধারণ মুসলমানরা কুরবানীর মত বিধান আদায় করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
গত বছর এ কারণেই অনেক মধ্যবিত্ত মুসলমান কুরবানী করার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। করোনা মহামারীর কারণে এমনিতেই হজ পালনে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা দেয়া হয়েছে; এই মুহুর্তে কোরবানির বাজার বসতে অনুমতি না দেওয়া হলে ভারতের মুসলমানরা কুরবানীর সৌভাগ্য থেকেও বঞ্চিত হবেন।
মুম্বাই শহরে ভারতের অন্যান্য প্রদেশ থেকে পশু আনা হয়, এ কারণে মুম্বাইয়ে এবার কোরবানির আগে পশু বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে পশুর দাম অনেক বেড়ে যাবে। এর প্রভাব পড়বেসাধারন মুসলমানদের উপর।
মুম্বাইয়ে বড় সংখ্যক মুসলমান ঈদে পশু কুরবানী করে থাকেন; কিন্তু গত বছর করোনার বিধি নিষেধ এর কারণে কুরবানী করতে পারেননি অনেকেই। এবছর কোরবানি ঈদের মাত্র মাস দেড়েক বাকি আছে ,তবে এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন গাইডলাইন দেওয়া হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে এসপি রঈস শেখ বলেছেন, সাধারণত অন্যান্য সময় দেওয়ান বাজারে পশুর বেচা-বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয় তাই কোরবানির সময় দেওয়ান বাজারে অনুমতি দেওয়া উচিত। অন্যথায় মুসলমানরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
রইস শেখ আরো বলেছেন, সাধারণ সময়ে করোনার মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গের পরে দেওনা বাজারে গরুর বেচা-বিক্রি হয়েছিল, তাই করোনা বিধি মেনে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে একইভাবে কোরবানির পশুর বাজার চালু রাখতে হবে। কোরবানির পশুর বাজারের অনুমতি পেতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকর ও পৌর কমিশনার ইকবাল সিং চাহালের কাছে চিঠিপত্রের আদান-প্রদান হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রইস শেখ বলেছেন, দেওনার বাজারের পাশাপাশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলিতে অস্থায়ী বাজার স্থাপন করা হলে সমস্যাগুলি দূর হবে এবং দেওনার বাজারে জনসমাগম হবে না।
সূত্র: মিল্লাত টাইমস
এনটি