মোস্তফা ওয়াদুদ: ঈদের সালামি। পুরোনো ঐতিহ্য। বড়দের থেকে সালামি নেন শিশুরা। সে সালামি দিয়ে যার যা খুশি দিনভর আনন্দ আর মাস্তি করেন। কেউ কিনেন বই। ঘুরাঘুরিও করেন অনেকে। ভিন্ন অনেককিছুই করা হয় অনেকের।
সালামি হিসেবে শুধু নতুন নোট নয়। কেউ কেউ জামাও দেন। কিন্তু সালামি হিসেবে ‘বই’ খুব বেশি দেয়া হয় না। কখনো কি ভেবে দেখেছেন সালামি হিসেবে ‘বই’ উপহারের বিষয়টি?
বইতে বাড়ে জ্ঞান। বই পড়ে কেউ ঠকেনি। জিতেছে সবাই। সব সময়। বই মানুষের পরম বন্ধু। ঈদে সালামি হিসেবে উপহার দিতে পারেন বই। বইয়ের সাথে গড়ে উঠতে পারে বন্ধুত্ব।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দেশের অভিজাত অনলাইন প্রকাশনী সংস্থা রকমারি ডটকম আয়োজন করেছে, ‘সালামি হিসেবে বই উপহার দিন’ ইভেন্ট। এর আগেও রকমারি অনেক ইভেন্টের আয়োজন করেছিলো। তবে এবারের এভেন্টটি অনেকাংশে ব্যতিক্রম। কেননা ‘সালামি হিসেবে বই উপহার’ বিষয়টির সূচনা রকমারিই প্রথম করতে যাচ্ছে।
ইভেন্ট প্রসঙ্গে রকমারি ডটকমের মার্কেটিং ও বিপনন বিভাগের প্রধান মাহমুদুল হাসান সাদী বলেন, ‘নতুন টাকা, জামাসহ নানা উপহারের সাথে সালামি হিসেবে অন্তত একটি বই দিন। কিন্তু বই পড়ে কি হয়? একবার শাহাদুজ্জামানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, মানুষ কেন বই পড়বে। যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, বই মনের স্পেস বাড়ায়। আসুন, মনের পরিধি বাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাই।’
রকমারির মাহমুদুল হাসান সাদী আরও বলেন, ‘ইদানিং একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়- বই না পড়েই একটি প্রজন্ম গড়ে ওঠছে। কিংবা ইন্টারনেটের এই যুগে এই প্রজন্মের পাঠোভ্যাস কমে গিয়েছে। সত্যিই কি তাই? যদি তাই হয় তাহলে এই প্রজন্মের বই পড়ার জন্য আমরা কি করেছি? আমার পরবর্তী প্রজন্মের কারো জন্মদিনে কি আমি কখনো বই উপহার দিয়েছি? যদি দিয়ে থাকি ঠিক কতবার দিয়েছি? আসলে অভিযোগ করে পরাজিত মানুষরা। কেন বই পড়ে না এই অভিযোগ না করে বরং সবাই মিলে এগিয়ে আসি পরিবারের সদস্যদের ভিতরে পাঠোভ্যাস তৈরীতে। সেই সাথে বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করি আমাদের আশে পাশের মানুষগুলোকে।’
রকমারি থেকে বিই কিনতে ক্লিক করুন
এমডব্লিউ/