আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহিমের স্ফটিক স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করেছেন হারামাইন কর্তৃপক্ষ। করোনা মহামারীর কারণে যখন ওমরা পালনকারী ও তাওয়াফকারীরা হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা থেকে বঞ্চিত এমন সময়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন এঙ্গেলে হাজরে আসওয়াদের ছবি প্রকাশ করলো হারামাইন কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৩ মে) সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এক বিবৃতিতে বলেন, ৪৯ হাজার মেগাপিক্সেলের এই ছবিগুলো তুলতে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এই সময়ের মধ্যে হাজরে আসওয়াদের এক হাজার ৫০ টি ছবি তোলা হয়েছে। ছবিগুলোর রেজুলেশন ৪৯ হাজার মেগাপিক্সেল। ছবিগুলো তোলার পর সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে ৫০ ঘন্টা সময় লেগেছে।
প্রসঙ্গত, হাজরে আসওয়াদ হলো একটি কালো রঙের প্রাচীন পাথর, যা কাবা শরিফের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে মাতাফ থেকে দেড় মিটার (চার ফুট) উঁচুতে অবস্থিত। হাজরে আসওয়াদ থেকে খানায়ে কাবা তাওয়াফ শুরু করতে হয় এবং এখানেই তাওয়াফ শেষ হয়।
হাজরে আসওয়াদকে সংরক্ষিত রাখতে চারদিক থেকে একে খাঁটি রূপায় ফ্রেমবদ্ধ করা হয়েছে এবং পাথরটি দেখতে কিছুটা ডিম্বাকৃতির।
আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে ইতিহাসের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, পৃথিবীতে এই পাথরটি পাঠানোর পূর্বে এর রং চকচকে সাদা ছিল। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা পাথরটির আলোর ঝলকানি কমিয়ে দিয়েছেন।
একথা হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত উল্লেখ করে আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম বলেছেন, হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহিম জান্নাতের দুটি পাথর। আল্লাহ তাআলা তাদের আলোর ঝলকানি কমিয়ে দিয়েছেন। যদি আল্লাহতালা এই দুই পাথরের আলো নিয়ে না যেতেন তাহলে পূর্ব-পশ্চিম ও এর মাঝখানে যা কিছু আছে সব এর আলোতে আলোকিত হয়ে যেত।
হাজরে আসওয়াদের ৮ টি টুকরো রয়েছে। পাথরটিকে প্রত্যেকদিন পাঁচবার বার ২০ হাজার মূল্যবান আতর দিয়ে সুগন্ধযুক্ত করা হয়।
আল আরাবিয়া ডট নেট থেকে নুরুদ্দীন তাসলিমের অনুবাদ।
এটি