সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মাওলানা নুর আলম খলিল আমিনী ও তার কিছু গ্রন্থ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।সারিব সুইজা।।

১৯৫০ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিহারের মুজাফফরপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের একজন সিনিয়র শিক্ষক এবং আরবি সাহিত্য বিভাগের প্রধান ছিলেন। তার লিখিত বই “فلسطین في انتظار صلاح دين” (ফিলিস্তিন ফি ইন্তিজারি সালাহিদিন) আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণার অর্ন্তভুক্ত। তিনি প্রায় ত্রিশ বছর ফিলিস্তিনকে নিজের ঘরের মতো করে পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর নিজের মায়া-ভালবাসায় নির্মিত একটি ঘর লুট হলে যেমন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় ঠিক সেই রক্তক্ষরণ নিয়ে তিনি এ গ্রন্থটি লিখেন। এছাড়া তার مفتاح العربية( মিফতাহুল আরব) বইটি বিভিন্ন মাদ্রাসায় দরস নিজামির সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত।

তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছিলেন মাদ্রাসা ইমদাদিয়া দরভাঙ্গা, দারুল উলূম মাও এবং দারুল উলূম দেওবন্দে। ১৯৭০ সালে মাওলানা তার দরসে নিজামী শেষ করতে আমিনিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তার শিক্ষকদের মধ্যে ওয়াহিদুয যামান কিরানভি এবং মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দী অন্যতম।

মাওলানা আমিনী দারুল উলূম দেওবন্দের আরবি সাহিত্যের অধ্যাপক এবং আরবি মাসিক আল-দা'ই-এর সম্পাদক-ইন-চিফ ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট অফ অনার লাভ করেন।

মাওলানার আরবী উর্দু গ্রন্থের কয়েকটি নাম নিম্নরূপ:-

اردو ترميم
وہ کوہ کَن کی بات (علامہ وحید الزماں کیرانوی کی سوانحِ حیات)
فلسطین کسی صلاح الدین ایوبی کے انتظار میں
پسِ مَرگِ زندہ
حرفِ شيریں
موجودہ صلیبی صہیونی جنگ
کیا اسلام پسپا ہو رہا ہے؟
خط رقعہ کیوں اور کیسے سیکھیں؟
عربی ترميم
مفتاح العربیہ (مکمل دو حصے) اس کتاب کو مختلف مدرسوں میں درس نظامی نصاب میں پڑھایا جاتا ہے۔
فلسطين في انتظار صلاح دين (عربی)
المسلمون في الهند
الصحابة و مكانتهم في الإسلام
مجتمعاتنا المعاصرة والطريق إلى الإسلام
الدعوة الإسلامية بين الأمس واليوم
متی تكون الكتابات مؤثرة؟
تعلّموا العربیة فإنہا من دینکم

আজ সোমবার ২০ রমযান ১৪৪২হিজরি মোতাবেক ৩ মে রাত ৩:১৫ মিনিটের দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ৷ ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও কন্যা সন্তান রেখে ইন্তেকাল করেছেন।

মাওলানা নুর আলম খলিল আমিনী রহ. গত ১৫ দিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। তাকে অক্সিজেন লাগানো হয়েছিল, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুইদিন আগে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গতকাল দুপুর থেকে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আজ মধ্যরাতে তিনি দেওবন্দে নিজের বিশ্রামাগারে ইন্তেকাল করেন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ