আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রয়োজনের সময় হারাম উপার্জনকারীর থেকে ঋণ নেয়া যাবে কি? এমন একটি প্রশ্ন করা হয়েছে দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে।
প্রশ্নকারী ব্যক্তি তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘এমন ব্যক্তি থেকে ঋণ নেয়া যেতে পারে কি যার উপার্জন হারাম। উদাহরণস্বরূপ আমি বলছি, যে আমার ওপর কোনো ব্যক্তির ঋণ আছে এবং সেই ঋণ পরিশোধের জন্য ওই ব্যক্তি বারবার তাগাদা দিচ্ছে। কিন্তু আমি এখন ঋণ পরিশোধের উপযোগী নয়। তো এ অবস্থায় যদি কোন হারাম উপার্জনকারী ব্যক্তি থেকে করজ নিয়ে আমি তার ঋণ পরিশোধ করে দেই তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এর বিধান কী? তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, এই প্রশ্ন আমি ওই অবস্থায় করছি, যে অবস্থায় কোনো হালাল উপার্জনকারী ব্যক্তি থেকে ঋণ পাচ্ছি না।’
উপরোক্ত প্রশ্নের জবাবে দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম উত্তর ছিল, হারাম উপার্জন করে ব্যক্তি থেকে ঋণ নেয়া যাবে না। তবে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় দারুল উলুম দেওবন্দ একটু শিথিলতার কথা বলেছে।
তারা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির পূর্ণ উপার্জন অথবা অধিকাংশ উপার্জন হারাম পদ্ধতিতে করা হয় বলে পূর্ণ ধারণা অথবা প্রবল ধারণা হয়। তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা একেবারেই নাজায়েজ। আর ঋণ নেওয়া ও এক প্রকারের অনুত্তম বিষয়। তাই তার সর্তকতা অবলম্বন করা জরুরী। হ্যাঁ! যদি দানকারী ব্যক্তি বলেন যে, এই টাকাগুলো বিশেষভাবে হালাল পদ্ধতিতেই আমি কামাই করেছি। তাহলে সেটি নেওয়া যাবে।’
ফতোয়ার দলিল: ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা নাম্বার ৩৪৩। দেওবন্দের ওয়েবসাইটের ফতোয়া বিভাগে প্রকাশিত প্রশ্ন নং: ৬০৪২৯৪, বিষয়: বিবিধ-হালাল ও হারাম। উত্তর নং ৬০৪২৯৪, ফতুয়া: ৭৪৯-৬০৮/ ডি= ০৯/১৪৪২ হি.
দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে মোস্তফা ওয়াদুদ এর অনুবাদ।
এমডব্লিউ/