মোস্তফা ওয়াদুদ: মুতাসিম বিল্লাহ মুজাহিদ। বয়স সর্বোচ্চ ৮ এর কোঠায়। মুখে রয়েছে জড়তা। বাংলা ভাষায় যাকে তোতলামি বলে। ঠিকমত কথা বলতে পারে না। বলতে পারে না নিজের নামও। কিন্তু যখন ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করে। তখন অনবরত পড়ে চলে। সে কি সুন্দর, সুমধুর তেলাওয়াত। মন ভরে যায়। মুগ্ধ করে তোলে চারপাশ।
দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন আয়োজিত পুষ্টি কুরআনের আলো নামক হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের একটি শিশুর কথা বলছি। অনুষ্ঠানের বিচারক যখন তার নাম জিজ্ঞেস করে তখন জড়তা থাকায় ঠিকমতো নাম বলতে পারেনি। কিন্তু তেলাওয়াতের জন্য যখন প্রশ্ন করা হলো তখন অনবরত পড়ে চলে।
অনুষ্ঠানটিতে বিচারক হিসেবে ছিলেন মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা নেছার উদ্দিন আন নাসেরী। শিশুটির তেলাওয়াতে মুগ্ধ হয়ে তিনি এ সময় বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমার কালাম দেখি কে কত সুন্দর করে পড়তে পারে? শিশুটি তারই প্রমাণ দিয়েছে। শিশুটি এই কাজটুকু করেছে। সুন্দর করে তেলাওয়াত করেছে।’
অনুষ্ঠানের আরেকজন বিচারক মো. নাদির মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যে শিশু নিজের নামটি পর্যন্ত বলতে পারে না। সে কুরআনুল কারীম যখন তেলাওয়াত শুরু করে, তখন অনবদ্যভাবে কোরআন তেলাওয়াত করে। তার মুখে যেটা আছে সেটা বোঝাই যায় না।
অনুষ্ঠানের আরেকজন বিচারক ছিলেন বিখ্যাত কারী আহমদ বিন ইউসুফ আল আযহারী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো এত হাফেজে কোরআন বিশ্বের অন্য কোথাও আমি পাইনি। এটি আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নেয়ামত আমাদের প্রতি।’
অনুষ্ঠানে আরও বিচারক ছিলেন মুফতি রাফি বিন মুনির।
এমডব্লিউ/