।।মোস্তফা ওয়াদুদ।।
নিউজরুম এডিটর
মাদক পাচারের অপরাধে কারাগারে বন্দি ছিলেন আব্দুল কাদের গিলানি। তিনি তুরস্কের অধিবাসী। করতেন মাদকের ব্যবসা। অপরাধ আমলে নিয়ে আদালত ১৮ মাস কারাদণ্ড দেয় তাকে। কারাদণ্ড শেষ হওয়ার আগেই মাত্র ১৫ মাসে পুরো কুরআনুল কারিম মুখস্থ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন তিনি।
আব্দুল কাদের গিলানির দেড় বছর সাজা হওয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, পুরো কুরআনুল কারিম মুখস্থ করবেন। মাদকের অন্ধকার জগত থেকে আলোর পথে ফিরবেন। তুরস্কের এ বন্দি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে মাত্র ১৫ মাসে কারাগারে বসেই সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তুরস্কের কোনিয়া কারাগারে বন্দি আব্দুল কাদের গিলানি নিজে কুরআন মুখস্থ করেই থেমে থাকেন নি। তিনি কারাগারে বন্দি আরও ১৩ জন কয়েদিকে কুরআন হেফজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। যাতে কারাগারে কুরআন হেফজের এ পদ্ধতি চালু থাকে। তারাও পবিত্র কুরআন মুখস্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।
আব্দুল কাদের গিলানির ভাষায়, ‘আমাকে ১৮ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সাজা পাওয়ার পর আমার বিশ্বাস জন্মে যে, এ সাজার মধ্যে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তবে আমি কখনোই চিন্তা করিনি যে, একদিন আমি পুরো কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হবো।’
‘আদালতে যেদিন আমার অপরাধের রায় ঘোষণা হয়, সেদিনই আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, কুরআন মুখস্থ করবো। এ সিদ্ধান্তকে সফল করতেই আমি কারাগারের ব্যবস্থাপনা দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে পবিত্র কুরআনুল কারিম হেফজ করতে পুরোপুরি সহযোগিতা করেন। তাদের সহযোগিতা ও আমার ঐকান্তিক ইচ্ছায় পুরো কুরআন হেফজ করার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
জেলখানায় কয়েদিদের মাঝে কুরআন মুখস্তের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আব্দুল কাদের গিলানি ১৩ জন কয়েদিকে কুরআন মুখস্ত করার পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। তারাও কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বের প্রতিটি জেলখানায় এ ধারা অব্যাহত থাকলে নিঃসন্দেহে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। কুরআনের আলোকিত জীবনের সন্ধান পাবে মানুষ। সূত্র: ইয়েনি শাফাক
ইসলাম প্রতিদিন বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন এ ঠিকানায়: [email protected]
এমডব্লিউ/