আওয়ার ইসলাম: ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য। জীবনের মায়া উৎসর্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ সর্বদা গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এগিয়ে এসেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের প্রতিবাদী সত্ত্বার স্ফুরণ ও অগ্রগন্য ভূমিকা অনন্য অসাধারণ অর্জন। এই অর্জনকে ধারণ করে আগামীদিনের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত 'স্বাধিকার ও মুক্তি সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলিবর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ জীবনের মায়া ত্যাগ করে ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল। এরই পথ ধরে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম। ১৯৬৬ সালের ৬দফা, আগরতলা মামলার বিরূদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল অগ্রগামী। ২৫মার্চের কালো রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালায়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বৈষম্য-অনাচার-শোষণ-অর্থনৈতিক নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার যে ডাক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, তাঁর সেই আদর্শকে ধারণ করে একাত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। স্বাধীনতার পূর্বে সকল সময়ে বারবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণ করা হয়েছে, প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। যে অর্থনৈতিক বৈষম্য-নির্যাতন-নিপীড়ন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের উপর চলে আসছিল, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক সমাজকে গভীরভাবে আন্দোলিত করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ এই সকল বৈষম্য ও নিপীড়নের অবসানের দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ও রূখে দাঁড়ায়।
-এএ