মোস্তফা ওয়াদুদ: দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসেম নোমানী। অত্যন্ত মেহনতী ও ছাত্র করার যোগ্য কারিগর তিনি। আদর্শ ছাত্র গড়ার জন্য বিশ্বব্যাপী তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। দারুল উলুম দেওবন্দের সকল ছাত্রই মুহাব্বত করেন তাকে। তিনিও আল্লাহর জন্যই সব ছাত্রকে ভালবাসেন। তিনি নমুনায় আসলাম। জীবিত আকাবির।
সম্প্রতি রিকশায় আরোহণ করে যাতায়াতের একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দারুল উলুম দেওবন্দের পাশেই একটি রিকশায় করে কোথাও যাচ্ছিলেন তিনি। আর সে ছবিটি আজ কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন ক্যাপশনে ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
অধিকাংশ ফেসবুক ইউজাররা লিখেন, ‘নমুনায়ে আসলাফ আল্লামা আবুল কাসেম নোমানী উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম হয়েও কত সরল জীবন-যাপন করছে।’
আল্লামা আবুল কাসেম নোমানী ১৪ই জানুয়ারি ১৯৪৭ সালে ভারতের বারাণসীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী মুহাম্মদ হানিফ। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন নিজ মায়ের কাছে। কুরআন শিক্ষা লাভ করেন মা এবং দাদার কাছে। এরপর ভর্তি হন জামিয়া ইসলামিয়া মদনপুরা বেনারশে। দারুল উলুম মৌ এবং মিফতাহুল উলুম মাদরাসায় পড়ার পর ভর্তি হন দারুল উলুম দেওবন্দে। তিনি ১৯৬৭ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। ১৩৮৮ হিজরির শাবান মাসে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ইসলামি আইনজ্ঞ ডিগ্রি বা ইফতা সমাপণ করে মুফতী হোন।
শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর তিনি ১৩৮৮ হিজরির জিলকদ মাসে প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া মদনপুরা বেনারশে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ১৯৯২ সালে দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিসে শুরার (পরিচালনা কমিটি) সদস্য হন। মাওলানা গোলাম মুহাম্মদ বাস্তানবীর পর আল্লামা আবুল কাসেম নোমানী গত ২১ জুলাই ২০১১ সালে দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি খানকায়ে মাহমুদিয়ার পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
এমডব্লিউ/