আওয়ার ইসলাম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলরে সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ওসি’সহ আহত হয়েছেন ৬ পুলিশ সদস্য।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের সময় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলা উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আলা উদ্দিন উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আরএমও ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল আজিম।
গুলিবিদ্ধ আহতরা হচ্ছেন- মো. রাজিব, মাঈন উদ্দিন, শাহ আলম, আলা উদ্দিন, হৃদয়, দেলোয়ার হোসেন, সোহেল, শাহাদাত হোসেন, আরাফাত হোসেন, বেলাল হোসেন সেলিম। অপর আহতরা হচ্ছেন, সাহাব উদ্দিন, জনি, সেলিম, ওয়াহিদ কামাল, রিপন, রফিক চৌধুরী, ফিনন চৌধুরী , দিপু, সুমন, আরিয়ান শিপন, শরীফ উল্যাহ টিপু, মানিক, শরীফ, আল মাহাদি, রাজিব হোসেন রাজু, নবায়ন হোসেন, আদনান শাহ, সালা উদ্দিন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ওসি মীর জাহিদুল হক রনি, এসআই জাকির হোসেন, নিজাম, কনেস্টবল খোরশেদ, আলা উদ্দিন, আবুল কালাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজনের হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আ.লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় কাদের মির্জার সমর্থকরা। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
রাত ৮টার দিকে মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা বসুরহাট বাজারে একটি মিছিল বের করলে বাদলের সমর্থকদের সাথে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষকারীরা বসুরহাট পৌরসভা প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে শুরু হয় গোলাগুলি। এতে পুলিশসহ আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক। সংঘর্ষকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ভাংচুর করা হয় কয়েকটি দোকানপাট ও অটোরিকশা।
-এএ