আওয়ার ইসলাম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। আজ বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কোম্পানীগঞ্জে মঙ্গলবার দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিবিনিময়, হামলা-পাল্টাহামলা ও নিহতের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ।
সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, ইটের টুকরা, জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
এর আগে মঙ্গলবার বসুরহাটে বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
এদের মধ্যে হৃদয় নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ৯ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এঘটনার পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা. জিয়াউল হক মীর।
তিনি বলেন, উপজেলা আ.লীগের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ আদেশ চলাকালে পৌর এলাকায় ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণজমায়েত, সভা-সমাবেশ, মিছিল, র্যালি, শোভাযাত্রা, যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পৌর শহরে চারজনের বেশি লোক জমায়েত হতে পারবে না।
-এএ