সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বন্ধু হয়ে উঠেন যেসব কাজের মাধ্যমে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সংসার সুখী হয় রমনীর গুনে। অনেক সংসারে রমনীকেই অবহেলা করেন তার স্বামী। আবার কিছু স্ত্রী তার স্বামীকে জনসম্মুখে হেয় করেন। স্বামী-স্ত্রীর নিয়মিত একে-অপরকে অবহেলায় করায় সংসার বিচ্ছেদের ঘটনা কম নয়। এজন্য বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে আগে একে-অপরের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। এতে একটি পরিবারের ভাল-মন্দ সহজেই দু’জনার মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই ভাগ করে নিতে পারেন। আর এতেই দৃঢ় হয় সম্পর্কের বন্ধন।

সমস্যায় পাশে থেকে ভরসা যোগান

কর্মজীবনে একজন পুরুষ নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। আর এই সমস্যার সময়ে ঠান্ডা মাথায় একজন স্ত্রী তার স্বামীকে শক্ত হওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। কখন স্বামীর সমস্যার মধ্যেই স্ত্রী রেগে না যাওয়াই ভাল। আবার স্ত্রীর সমস্যার সময়ে স্বামীকে সবার আগে পাশে থেকে শান্ত্বনা দিতে হবে। তাই তো দু’জনার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠলে রাগ, অভিমানগুলো সহজেই মেনে নিতে পারেন। সারা জীবনের প্রিয় সঙ্গী কিন্তু স্বামী, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, একজন নারী ও পুরুষ যখন বিবাহবন্ধনে জড়িয়ে পড়েন তখন তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকেন যে, সারা জীবন এভাবেই একে অপরের পাশে থাকবেন। যাবতীয় দায়িত্ব একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। যদিও এখন ডিভোর্স রেট আগের থেকে অনেকটাই বেশি, তবুও খুব সহজে কেউই সেপারেশনে যেতে চান না। যে কোনও সম্পর্কেই ভাঙ্গন খুব কষ্টের। তবে সেসব কথা এখন থাক। কিভাবে স্বামী-স্ত্রী একে-অপরের বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে উঠবেন সেই সম্পর্কে কিছু টিপস জেনে নিন-

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আর প্রেমের মধ্যে বিশাল ফারাক। বিয়ের আগে একজন নারী ও পুরুষের মধ্যে যে সম্পর্ক বিয়ের পরে তা থাকে না। সংসার জীবনে এসে সংসার চালানোর ক্ষেত্রে আড্ডা দিয়ে ভালোবাসার গল্প শোনানোর সময় হাতে পাওয়া যায় না। কারণ এরপর দুজনের একসঙ্গে থাকা, একসঙ্গে পথ চলা বদলে দেয় সম্পর্কের সমীকরণ। আর তাই প্রতিটা মুহূর্ত একসঙ্গে উপভোগ করে নিন। প্রেমে ভালোবাসা, ঝগড়া এসব থাকবেই। কিন্তু এসব বাদ দিয়েও ছোট, ছোট মুহূর্তেও ভালোবাসতে শিখুন।

শুধুমাত্র I LoveYou বললেই ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না। বিয়ের পর সংসারের চাপ জটিলতা এসব থাকবেই। কিন্তু কখনও নিজেদের মধ্যে তৃতীয় কোনও ব্যক্তিকে আনবেন না। নিজেদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেবেন। একে অপরের অভিভাবকের কাছে অভিযোগও জানাবেন না। আপনার হাসিই কিন্তু স্বামীর মুখে তৃপ্তি ফোটাবে।

ভাল-খারাপ সব সময় সঙ্গীকে পাশে রাখুন। একে অপরের ভুল হলে অবশ্যই যেমন ধরিয়ে দেবেন, তেমনই অন্য কেউ যাতে তাকে অপমান না করেন সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এভাবে একে অপরের পাশে থাকলেই সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হবে। ভুল বোঝাবুঝি হলে কথা দিয়েই তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে নিজেরা নিজেদের জন্যই গোল সেট করুন।

‘আমি’ থেকে ‘আমাদের’ বলা জরুরি

আমার বাড়ি, তোমার গাড়ি নয়, বরং আমাদের বাড়ি বা আমাদের গাড়ি এই ভাবেই বলুন। একইভাবে বাড়ির লোকদেরও আপন করে নিন। নিজের মা-বাবা বেশি গুরুত্বের আর শ্বশুর শাশুড়ি বলে গুরুত্ব কম এমন মনোভাব রাখবেন না। নিজের বাড়িতে যেমন ভাবে থাকেন, শ্বশুর বাড়িতেও সেই ভাবে থাকার চেষ্টা করুন।

মানুষের সঙ্গে মিশলে তবেই অনেক কিছু জানা যায়। মন উদার হয়। আর তাই সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার জরুরি। কোন কারণে যদি কেউ আপনার স্বামীকেই নিমন্ত্রণ করে বলেন যে আপনাকেও সঙ্গে আসতে তাহলে অবশ্যই যাওয়ার চেষ্টা করুন। আপনাকে কেন আলাদাভাবে নিমন্ত্রণ করা হল না এই নিয়ে রাগারাগি করবেন না, যদি না খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনও কারণ থাকে। বরং সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলুন। খুব বেশি ঘনিষ্ঠতাও নয়, কিন্তু তা বলে এমন কোনও ব্যবহার করবেন না যাতে অন্যজ অস্বস্তিতে পড়েন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ