বেলায়েত হুসাইন: সাওয়াবের কাজ করা সহজ। কিন্তু গোনাহ থেকে বেঁকে থাকা কঠিন। আপনি চাইলেই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে পারবেন। কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবেন। ইবাদাত বন্দেগী করেত পারবেন। কিন্তু চাইলেই গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন না। কথাগুলো শুনেছিলাম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর জবানে। কোনো এক ইসলাহী মজলিসে। (আল্লাহ তাকে জান্নাতের আলা মাকাম দান করুন। আমিন।)
শয়তান মানুষের পেছনে সব সময় লেগেই থাকে। সে ছলেবলে কলে-কৌশলে মানুষকে গোনাহের দিকে ধাবিত করে। নফস গোনাহের দিকে ধাবিত হয়ে পড়ে। সময়-অসময়ে গোনাহের কাজে মন ঝুকে পড়ে আদম সন্তানের। এই গোনাহ থেকে কিভাবে বেঁচে থাকবো আমরা।
এ বিষয়ে একটি চমৎকার লেখা পোস্ট করেছেন সৌদি আরবের বিশিষ্ট সিরাত লেখক, গবেষক ও ইসলামী স্কলার ড. মুহাম্মদ আলী আস সাল্লাবি।
পোস্টটির বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হলো, ‘বুযুর্গরা বলেন, যখন তোমার মন কোন গোনাহের দিকে ধাবিত হয়, তখন পবিত্র কোরআনের এই আয়াত সম্পর্কে মনকে বোঝাও। আয়াতের অর্থ- মহান আল্লাহ বলেন, আপনি বলুন! তা (তুমি যা করতে চাচ্ছো) উত্তম নাকি চিরস্থায়ী জান্নাত-মুমিনদের জন্য যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে? (সুরা ফুরকান, আয়াত: ১৫)।
উপরোল্লিখিত আয়াত স্মরণে আসলে তখন আর গোনাহের দিকে মন সায় দিবে না। কারণ, একজন মুমিনের কাছে জান্নাতের চেয়ে প্রিয় ও অধিক কাঙ্খিত বস্তু আর কিছুই হতে পারে না। সুতরাং আয়াতটি গোনাহ থেকে বাঁচার বড় একটি মাধ্যম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করেন এবং গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন
এমডব্লিউ/