।।খাদিজা ইসলাম।।
রান্নাঘর গুছিয়ে রাখার সঙ্গে মনের যোগসূত্র রয়েছে। কেনই বা থাকবেনা? এটা যে প্রাণের বারান্দা। তাই রোজ রোজ অপরিষ্কার অগোছালো রান্নাঘর কেউ পছন্দ করে না। মন মেজাজ ও বিগড়ে থাকে। নিত্যদিন রান্নাঘরে আসা যাওয়া হয় পরিবারের সবার। পরিবারের সদস্যদের মন ফুরফুরে রাখতে রান্নাঘর গুছিয়ে রাখার বিকল্প নেই। তাহলে আসুন জেনে নিই রান্নাঘর গুছিয়ে রাখার কিছু কৌশল-
রান্নাঘর কিভাবে সুন্দর ও মনোরঞ্জন করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। কোন জিনিস কোথায় রাখা যায়। কোথায় রাখলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় তা ভাবতে হবে। ভাবতে হবে রান্নার কাজ করতে সুবিধা হওয়ার বিষয়টিও।
অপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিস রান্না ঘরে থাকে। তাই যে জিনিসগুলো রান্নাঘরে কোনো কাজে আসে না। সেগুলো রান্নাঘর থেকে সরিয়ে রাখতে হবে।
খুব দরকারী জিনিস হাতের কাছেই রাখা উচিত। রান্নার প্রয়োজনীয় জিনিস যখন হাতের কাছে পাওয়া যায় না। তখন মন মেজাজ বিগড়ে যায়। খারাপ হয়ে যায় রান্নাটাও। তাই অতি দরকারী জিনিসগুলো হাতের কাছেই রাখা উচিত।
আলাদ আলাদা উপকরণের মেন্যুগুলো একসঙ্গে গুছিয়ে রাখা উচিত। বিশেষ করে মসলার গুড়ো একেকটা পাত্র একেক জায়গায় ছড়িয়ে না রাখা।
রান্নাঘরের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অ্যারেজমেন্ট করে রাখা খুব জরুরী।
ক্যবাবিনেটগুলো মাপ মতো বসিয়ে নিতে হবে। প্রতিটি ক্যাবিনেটে যেন জিনিসপত্র ঠিকঠাক মতো রাখা যায়। বিশেষ করে দা- বটি, খুন্তি, বড় চামচ ইত্যাদি ঝুলিয়ে রাখার জন্য আংটা রাখা যেতে পারে।
প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসপত্র - যেমন বাসন, গ্লাস, ডিনার সেট, চায়ের কাপ, ছুরি, চামচ ইত্যাদি খাবার ঘরের সাইড বোর্ডে রাখা যেতে পারে। এসব ধোয়ার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে রাখা উচিত।
যদি সম্ভব হয় গ্যাসের চুলার পাশে দেয়ালে খুপড়ি বেধে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঝুলিয়ে রাখা যায়। থালা-বাসন মোছার নেকরা যথাসম্ভব গুছিয়ে রাখা উচিত।
রান্নাঘরে ময়লা আবর্জনা রাখার জন্য ঢাকনাওয়ালা বালতি রাখা উচিত; যেন মশা-মাছি না থাকে। সপ্তাহে একদিন অন্ততপক্ষে ভালো করে রান্নাঘরের সমস্ত জিনিস পরিষ্কার করা উচিত। বিশেষ করে মেঝ পরিষ্কার রাখায় অতিরিক্ত সতর্ক হওয়া উচিত।
সর্বোপরি রান্নাঘর পরিপাটি থাকলে মন ফ্রেশ থাকবে। কাজের উদ্দীপনা বাড়বে।
লেখক- শিক্ষার্থী, সম্মান ২য় বর্ষ, বাংলা, সরকারী তিতুমীর কলেজ।
-কেএল/কাউসার লাবীব