আওয়ার ইসলাম: কৃষাণী সাহিদা এখন কোটিপতি। ফরিদপুর কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনকারী কৃষকদের তালিকায় সাহিদা বেগম আছেন প্রথমে। চলতি বছর তিনি পেঁয়াজের বীজ বিক্রি করেছেন চার কোটি টাকার। উৎপাদন খরচ বাদ দিলে সাহিদার আয় হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা।
সাহিদা বেগমের বয়স ৪৩। বাড়ি ফরিদপুর পৌরসভার গোবিন্দপুর গ্রামে। স্বামী মো. বক্তার হোসেন খান একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের কর্মকর্তা। স্ত্রী সাহিদার উদ্যোগে সব সময় পাশে থাকেন স্বামী বক্তার।
জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে পেঁয়াজের বীজ চাষ। বাড়ির পাশের একজনকে পেঁয়াজবীজ চাষ করতে দেখে আগ্রহী হোন সাহিদা বেগম। প্রথম বছর ২০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করে দুই মণ বীজ পান সাহিদা। তা বিক্রি করেন ৮০ হাজার টাকায়। তারপর থেকে উৎপাদন বাড়তেই থাকে। গত বছর ২৪ একর জমিতে চাষ করেন। ১৫০ মণ বীজ পেয়েছিলেন।
এ বছর ৩০ একর জমিতে চাষ করে ২০০ মণ পেঁয়াজের বীজ পেয়েছেন। প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে দুই লাখ টাকায়। এ বছর বীজের দাম বেশি হওয়ায় তাঁর আয়ও হয়েছে বেশি। জানা যায়, সাহিদার স্বামী বক্তার পৈতৃকসূত্রে চার একর জমির মালিক। বাকি জমি এলাকাবাসীর কাছ থেকে ইজারা কিংবা বর্গা নিয়ে তিনি চাষ করেছেন। আগামী বছর তাঁর লক্ষ্য ৩৫ একর জমিতে চাষ করার।
পেঁয়াজের বীজ পেতে ছয় মাস জমিতে কাজ করতে হয়। নভেম্বর থেকে রোপণ শুরু এবং খেত থেকে বীজ শুকিয়ে প্রস্তুত করতে এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আর বিক্রি করতে করতে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস চলে যায়।
জানা গেছে, উৎপাদিত পেঁয়াজবীজ ‘খান বীজ’ নামে মোড়কজাত করে বিক্রি করেন সাহিদা। ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা সাহিদার বীজ কিনতে আসেন।
এমডব্লিউ/