আওয়ার ইসলাম: আজ থেমে গেলাম। আগামীতে থামবো না। আজকের ঘেরাও কর্মসূচি শেষে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
আজ সোমবার (২ নভেম্বর) মহানবী সা.কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অবমাননা করায় ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি হেফাজতের ঘেরাও কর্মসূচি সফল করায় তৌহিদী জনতা, ছাত্রসমাজ, মিডিয়াকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা বাহিনীর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, আমরা আজকের কর্মসূচি আপনাদের সহযোগিতায় সফল করতে পেরেছি। আজ আপনাদের কথা রক্ষা করে আমরা এখানে থেমে গেলাম। কিন্তু প্রয়োজনে আগামী কর্মসূচিতে আর থামবো না।
এতে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা কাসেমী বলেন, হেফাজতে ইসলাম ভাঙচুরে বিশ্বাসী না। হেফাজতে ইসলাম জ্বালাও পোড়াওতে বিশ্বাসী না। হেফাজতে ইসলাম শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। যতদিন আমাদের দাবী পুরণ না হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবো। যাতে কোনো অসাম্প্রদায়িক চক্রান্ত দেশের ক্ষতি সাধন করতে না পারে। আমরা দেশের জন্য কাজ করবো। দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করবো। দেশের ক্ষতি সাধন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকবো। মা-বোনদের ইজ্জত আব্রু রক্ষা করবো। যুব সমাজকে মাদকাসক্ত থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবো। এদেশকে আমরা গড়বো ইনশাআল্লাহ।
পরবর্তী কর্মসূচি পরামর্শের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে বলে জানান হেফাজত ঢাকা মহানগরী সভাপতি আল্লামা কাসেমী।
দেখো গেছে, আজকের কর্মসূচি বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত ছিল। ‘বিশ্বনবীর অপমান, সইবে না রে মুসলমান’, ‘বয়কট বয়কট, ফ্রান্সের পণ্য বয়কট’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, ফ্রান্সের দূতাবাস’ ইত্যাদি।
জানা গেছে, ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের লক্ষে গণমিছিল ছুটে চলতে থাকে রাজধানীর গুলশান-বারিধারা এলাকার দিকে। তৌহিদি জনতার মিছিলটি পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল মোড় পেরিয়ে শান্তিনগর পর্যন্ত এলে পুলিশ প্রথম বাধা দেয়। নবীপ্রেমিক জনতা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যেতে থাকে সামনে। মালিবাগ মোড়ে এলে আবারো বাধার মুখে পড়ে মিছিলটি। হেফাজত নেতারা পুলিশের অনুরোধে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত গিয়ে যাত্রা সমাপ্ত করেন।
এমডব্লিউ/