আওয়ার ইসলাম: প্রতিদিনই সারাবিশ্বে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। করোনার ভয়াল থাবায় বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৩৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্ত সংখ্যা ৪ কোটি ৫৩ লাখ ১৩ হাজার ১১৩ জন। ভ্যাকসিনের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় দীর্ঘ হচ্ছে এর সংখ্যা।
জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে নতুন করে ২৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তনে নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত নতুন করে বাড়লেও মৃত্যুর হার কমেছে। দেশগুলোতে দিন দিন বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও। এদিকে করোনার নতুন ঢেউ ঠেকাতে কয়েকটি দেশে আবারো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২৯ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। যদি আক্রান্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার কম।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে সবার শীর্ষে আছে আমেরিকা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯২ লাখ ১২ হাজার ৭৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরপরেই আছে ভারত। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লাখ ৮৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬ জন। আরো যথাক্রমে ব্রাজিলে ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪০২, রাশিয়া ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৩, ফ্রান্সে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৯, স্পেইনে ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৯২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৭৭ জন, ব্রাজিলে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩ জন, ভারতে ১ লাখ ২১ হাজার ১৩১ জন, মেক্সিকোতে ৯০ হাজার ৭৩৭ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৫ হাজার ৯৫৫ জন, ইতালিতে ৩৮ হাজার ১২২ জন, পেরুতে ৩৪ হাজার ৩৬২ জন, ফ্রান্সে ৩৬ হাজার ২০ জন ও স্পেনে ৩৫ হাজার ৬৩৯ জন।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ২১ হাজার ২৮১ জন।
এদিকে ডব্লিউএইচওর জরুরী পরিস্থিতি প্রধান ডা. মাইক রায়ান বলেছেন, 'ভ্যাকসিন পাওয়া ও এর ব্যাপক ব্যবহার হওয়ার আগে এবং মহামারীটি রোধে সম্মিলিত ব্যবস্থা না নিলে বিশ্বে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা দুই মিলিয়নে পৌঁছে যেতে পারে। যা অবশ্যই অকল্পনীয়'।
তিনি আরো বলেন, 'তবে এটি অসম্ভব নয়। কারণ আমরা যদি নয় মাসের মধ্যে দশ মিলিয়ন লোককে হারাতে দেখেছি। সেই সাথে আমরা কেবল নয় মাসের মধ্যে একটি ভ্যাকসিন বের করার বাস্তবতাগুলো দেখেছি। এটি একটি বড় কাজ'।
নতুন এই ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।
-এটি