আওয়ার ইসলাম: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীর উপর ভয়াবহ পাশবিকতার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের পাকড়াও ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে আল্লামা কাসেমী বেগমগঞ্জের ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, কিশোর বয়সী কয়েকটা তরুণ মায়ের বয়সী এক নারীর সাথে যা করেছে, সেটা আইয়্যামে জাহিলিয়্যার বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। দেশে আইনের শাসন, বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলায় কত ভয়াবহ অধোগতি ও ধ্বস নেমেছে, এই ঘটনা তার প্রমাণ। এ ঘটনায় গোটা জাতি বেদনাহত, মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় দেশের নারী সমাজ ও অভিবাবক মহলে আতংক ও অসহায়ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে।
জমিয়ত মহাসচিব আরো বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও নাগরিক নিরাপত্তা কত ভয়াবহ মাত্রায় ভেঙে পড়েছে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান ও নিরাপত্তা কতটা অসহায় ও জঘন্য রূপ নিয়েছে, বেগমগঞ্জ, সিলেট, খাগড়াছড়ি’সহ গোটা দেশের নিত্যদিনকার ধর্ষণ ও খুনাখুনির ঘটনা তার প্রমাণ বহন করে।
তিনি বলেন, শুধু নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নয়, ধর্ষণ যেন সারাদেশে মহামারির রূপ নিয়েছে। গত ১ অক্টোবরের পত্রিকায় দেখেছি, গত ৯ মাসে দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৭৫ জন নারী। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২০৮ জন নারী। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৩ জন হতভাগা নারী। আর আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন নারী। এই চিত্র যে কোন নাগরিকের মনে আতংক না ধরিয়ে পারে না।
আল্লামা কাসেমী অবিলম্বে বেগমগঞ্জ, সিলেট, খাগড়াছড়ি’সহ দেশের যে কোন স্থানে সংঘটিত প্রতিটি ধর্ষণ ও নারী নিগ্রহের ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসন গড়িমসি ও অবহেলা করলে বিক্ষুব্ধ জনতার গণজোয়ার রাজপথে নেমে আসলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সকল দায় সরকারকেই নিতে হবে।
-এটি