শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রাগের সময় যে দোয়া পড়লে রাগ কমে যায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্দামান নওশাদ: রাগ আসে অহংকার থেকে। অহংকার আসে অন্যকে নিজের চেয়ে তুচ্ছ মনে করা থেকে। অহংকার করা শয়তানের কাজ। শয়তানই প্রথম অহংকারী ছিলো। যখন মানুষের অহংকার বেড়ে যায় তখন রাগে ফুঁসে উঠে। আর এ রাগের বশে অরেনক অযাচিত কাজ করে ফেলে মানুষ। যার কারণে পরে আফসোস করতে হয়। রাগের বশত কাজের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করতে হয় রাগ কমে যাওয়ার পর।

এ রাগ বা গোস্বা থেকে বেঁচে থাকতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোট্ট একটি বাক্য পড়ার নসিহত পেশ করেছেন। যা মানুষের রাগকে মুহূর্তের মধ্য কমিয়ে দেয়।

হাদিসে এসেছে- হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সামনে দুই ব্যক্তি একজন অপরজনকে গালি দিতে লাগলো। তাদের একজন এত অধিক রাগান্বিত হলো যে, মনে হচ্ছিলো রাগের প্রচণ্ডতায় তার নাক ফেটে যাবে। রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- আমি এমন একটি বাক্য জানি, যা বললে রাগের প্রতিক্রিয়া চলে যাবে। তখন মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসুল ! তা কি? তিনি বললেন, ‘সে বলবে- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ

বাংলা উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাশ শায়ত্বানির রাঝিম।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ ! আমি আপনার কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।’

তখন মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে তা পড়ার তাগিদ দিতে থাকলেন। কিন্তু সে তা পড়তে সম্মত হলো না আর ঝগড়া করতে থাকলো এবং তার রাগ আরও বেড়ে গেলো।

রাগমুক্ত জীবন-যাপনে মানুষ দুনিয়া ও পরকালের সব কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারে। আর তা হয় মানুষের জন্য সহজ। সুতরাং মানুষের উচিত রাগ পরিহার করা। অতিরিক্ত রাগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে হাদিসের উপর আমল করে ছোট্ট এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ