হাছিব আহমদ।।
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. একটি নাম, একটি অনুপ্রেরণা। যে সকল মহান সাহাবি ইসলামের প্রচার প্রসার ও নীতি অনুসরণে অগ্রগামী ছিলেন তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। রাসুল সা. তার সম্পর্কে বলেছেন, হালাল ও হারাম সম্পর্কে উম্মতের সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি মুয়াজ।
মুয়াজ রা. একজন আনসারি সাহাবি ছিলেন। আকাবার রাত্রে বায়াত হয়ে নবীজির হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর ধীরে ধীরে নিজ কর্মে হয়ে উঠেন উম্মতের জন্য আলোর মশাল।
নবীজি যখন মদিনায় এলেন মুয়াজ রা. নবীজির পাশে ছায়ার মত লেগে ছিলেন। তিনি নবীজির কাছে কোরআন ও দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করেছেন, এভাবে তিনি বড় ক্বারী ও জ্ঞানী হয়ে উঠেন। ইয়ামেনের রাজাদের দূত দল যখন ইসলামের দিকে ধাবিত হলেন, বিদায়ের সময় তারা রাসুল সা. এর কাছে এমন এক ব্যক্তিকে চাইলেন যিনি তাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিবেন। তখন রাসুল সা. প্রিয় মুয়াজকে বাছাই করলেন।
আলোর পথের এই দূত দলকে বিদায় দিতে নবীজি নিজে বের হলেন, পাশে পায়ে হেটে চলছিল প্রিয় মুয়াজ। বিদায়ের মূহুর্তে রাসুল সা. প্রিয় মুয়াজকে ঐতিহাসিক অছিয়ত করলেন, বললেন- ‘এ বছরের পরে তোমার সাথে আর হয়ত দেখা হবে না, তুমি যখন মদিনায় ফিরে আসবে, আমার মসজিদের পাশে বিচরণ করবে, আমার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে।’
প্রিয় নবীজির মুখ থেকে এ কথা শুনে বিচ্ছেদ যাতনায় কেঁদে ফেললেন মুয়াজ। কিছুদিন পর নবীজির বানী সত্যি হল। মুয়াজ রা. ইয়ামেন থেকে ফেরার আগেই বিশ্ব নবি ইহকাল ত্যাগ করলেন। এর কয়েক বছর পরের কথা, তখন দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর রা. এর শাসনকাল। মুয়াজকে দ্বীন প্রচারের জন্য ফিলিস্তিনে পাঠান। সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
-এএ