আওয়ার ইসলাম: যাদের ঘরে এসি নেই তাদের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক এসি। প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল চলছে। এসময় প্রায়ই ভ্যাবসা গরমে মানুষ ও প্রাণীকূল অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এই জ্বালাময় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেরই প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে একটি এসি। কিন্তু অধিকাংশের বাড়িতে এসি না থাকায় ফ্যানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে যা বাড়ির অন্দরমহলের পরিবেশকে একদম ঠান্ডা করতে সহায়তা করবে। এ পদ্ধতির জন্য কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. বাড়ির যে অংশ দিয়ে সবচেয়ে বেশি বাতাস চলাচল হয়, সেই পাশের জানালাগুলো খোলা রাখতে পারেন। এতে সূর্যাস্তের পরে ঘর বাতাসে পরিপূর্ণ হবে।
২. গরমের সময় দিনের বেলা গরম বাতাস চলাচল করে এ কারণে দুপুরের সূর্যের প্রখর তাপ যাতে ঘরে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। তবে সূর্যাস্তের পরে যখন তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায় এবং ঠান্ডা বাতাস চলাচল শুরু হয় তখন জানালা-দরজা খুলে ঘরে বাতাস প্রবেশ করতে দিন। ঠান্ডা বাতাস ঘরের গুমোট হাওয়া দূর করবে।
৩. গরমে বাড়ি শীতল রাখতে চাইলে বিছানায় সাদা বা হালকা রংয়ের সুতির কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। বিছানার চাদর মোটা হলে ঘাম বেশি হয়। সাদা ও হালকা রঙের উপাদান তাপ শোষণ করে না, বরং প্রতিফলিত করে।
৪. বাড়ি ঠান্ডা রাখার জন্য ঘরের চারপাশে গাছপালা লাগাতে পারেন। ছায়া দিতে পারে এমন গাছ পূর্ব-পশ্চিম অনুযায়ী লাগান, এতে বাড়িতে সরাসরি সূর্যের তাপ ঢুকতে বাধা পাবে। ঘরের চারপাশে ঘাসজাতীয় গাছ থাকলে ঘর ঠান্ডা থাকে।
৫. গরমে প্রাকৃতিকভাবে ঘরকে শীতল রাখার অন্যতম সেরা প্রক্রিয়া হচ্ছে সাদা ছাদ। সাদা রঙ তাপ শোষণ করে না, বরং প্রতিফলিত করে। তাই, সাদা রঙ সূর্যের রশ্মিকে প্রতিফলিত করবে এবং বাড়িকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল রাখবে। এ কারণে বাড়ির ছাদ এবং টেরেস অঞ্চলগুলি সাদা রঙ করে নিতে পারেন।
৬. ঘরেই এয়াকন্ডিশন তৈরি করুন। এক বাটি আইস কিউব বা বরফ নিয়ে তা ফ্যানের সামনে বা নীচে রাখুন, তারপর ফ্যান চালান। কিছুক্ষণ পর যখন বরফগুলো গলতে শুরু করবে, তখন বাতাস ওই ঠান্ডা পানি শোষণ করবে এবং চারিদিকে ছড়িয়ে দেবে। এতে বরফের জন্য ফ্যানের বাতাস ঠান্ডা হবে এবং সারা ঘরে ঠান্ডা বাতাস ছড়াবে।
এমডব্লিউ/