মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন।।
কারবালার তাৎপর্য ও শিক্ষা বোঝার জন্যে তিনটি ভূমিকা বুঝতে হবে। প্রথম ভূমিকা: ইসলামে খলিফা এবং রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচন পদ্ধতি কি? প্রশ্নের উত্তর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে বলে গিয়েছেন- خير القرون قرني ثم الذين يلونهم ثم الذين يلونهم অর্থাৎ সর্বোত্তম যুগ আমার যুগ, তারপর তার সাথে যারা মিলে আসবে, তারপর তার সাথে যারা মিলে আসবে।
এর থেকে আমরা জানবো, আদর্শ তিন যুগে খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি কী ছিল!
প্রথম, আমরা দেখি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খলিফা নির্বাচনে কি ভূমিকা রাখেন? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরবর্তী খলিফা আবু বকর রাযি.-এর ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু বলে যাননি তবে ইশারা-ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে গিয়েছেন যেমন, নবী সা: না থাকলে আবু বকর রাযি. ইমামতি করতেন। নবীজি কখনও কোথাও বসলে আবু বকর রাযি.-কে পাশে বসাতেন। কখনো কথা বলতে গিয়ে বলতেন انا وابو بكر وعمر "আমি আবু বকর এবং ওমর"। ইত্যাদি ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
আর ইসলামের বিধান রাষ্ট্রের ইমাম যিনি হবে মসজিদের ইমামও তিনিই হবেন। এতে বুঝে আসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরে আবু বকর রাযি.-এর এর স্থান। তাহলে রসুলের খলিফা নির্বাচন পদ্ধতি ছিল ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে।
দ্বিতীয়, পদ্ধতি আবু বকর রাযি. তার পরবর্তী খলিফা উমর রাযি. এর নাম ঘোষণা করেন এবং মনোনয়ন করে গেছেন।
তৃতীয়, পদ্ধতি ওমর রাযি. ছয় সদস্যের এক মজলিসে শুরা গঠন করে গেছেন। এ মজলিসে শূরা কে প্রচলিত গণতন্ত্র এবং অবাধ গণতন্ত্র আখ্যা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে সীমিত গণতন্ত্র ধরলে ধরা যেতে পারে । এটা হচ্ছে মজলিসে শূরা ইসলামের সুন্দরতম একটি বিধান।একে বৃহৎ গণতন্ত্র বলে সারা দেশের জনসাধারণের রাষ্টপ্রধান নির্বাচন পদ্ধতি ব্যখ্যা করা নিতান্তই বোকামি।
চতুর্থ. উসমান রাযি. উল্লেখিত পদ্ধতগুলিতে নির্বাচন করেননি। বরং নির্বাচনের বিষয়টি উম্মতের উপর ন্যস্ত করে দিয়েছেন।উম্মত যাকে ইচ্ছা নির্বাচন করবে। একে সাধারণ গণতন্ত্র বলা যেতে পারে। কিন্তু সাধারণ গণতন্ত্র প্রয়োগ হয়নি যে, প্রতিটি জনগণ ভোট দিয়ে রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচন করেছেন। বরং আলী রাযি.-এর হাতে কিছু লোক বায়াত গ্রহণ করেন অন্যরাও ধীরেধীরে তার হাতে বায়াত গ্রহণ করেন। তাই খইরুল কুরুনের কোথাও সাধারণ গণতন্ত্রের প্রয়োগ হয়নি বিষয়টি স্পষ্ট।
এ ছিল খলিফা নির্বাচনের চার পদ্ধতি।এ ছাড়া ভিন্ন কিছু পাওয়া যায় না।
দ্বিতীয় ভূমিকা: হযরত মুয়াবিয়া রাযি. নিজ পুত্র ইয়াজিদকে খলিফা ঘোষণার বিষয়টি। আমরা আবু বকর রা: এর আদর্শ থেকে খলিফা ঘোষণার বিষয়টি পেয়েছি। তাহলে নাম ঘোষণা করে খলিফা মনোনয়ন অপরাধ কিছু নয়। যদি প্রশ্ন করা হয় তিনি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন, তাহলে দেখতে হবে তিনি নিছক পুত্র হিসেবে খলিফা মনোনয়ন করেছিলেন নাকি ছেলের যোগ্যতা আছে বলেই নির্বাচন করেছিলেন। এ ব্যপারে ইতিহাস কী বলে معاویہ اور حقائقএর বাংলা অনুবাদ ‘ইতিহাসের কাঠগড়ায় মুয়াবিয়া রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু’ এতে আছে জুমার খুতবায় দোয়া কবুলের প্রাক্কালে মুয়াবিয়া রাযি. দোয়া করেন- হে আল্লাহ আমি যদি ইয়াজিদকে শুধু পুত্র হওয়ার সুবাদে খলিফা মনোনয়ন করে থাকি তাহলে তুমি তাকে ব্যর্থ করো। আর যোগ্যতার বিচারে করে থাকলে তুমি তাকে সফল করো…।
এ ঘটনা থেকে বুঝে আসে নিছক পুত্র হওয়ার কারণে খলিফা মনোনয়ন করে থাকলে, পুত্রের বিরুদ্ধে কখনো বদদোয়া করতেন না মুয়াবিয়া রাযি.। তাই একে প্রচলিত রাজতন্ত্র কীভাবে বলা যেতে পারে। নবীজির বিশিষ্ট সাহাবাদের একজন মুয়াবিয়া রাযি. । তিনি একজন ওহির সংকলক এবং লিপিকার। জোর যার মুল্লুক তার ধরনের অভিযোগের তকমা লাগানো একজন সাহাবির ব্যপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কাজ হতে পারে না ।এ ধরনের স্পর্শ কাতর বিষয়ে সমাধানে বিচ্যুতি থেকে আল্লাহ আমাদের পরিত্রান দিন।
তৃতীয় ভূমিকা: খলিফা মনোনয়ন একটি মাসআলা। খলিফা মনোনয়নের জন্য সবচেয়ে নেককার পরহেজগার হওয়া শর্ত কি না? ফুকাহারা বলেন, এই গুণগুলো থাকা উত্তম,তবে শর্ত নয়। রাষ্ট্রপরিচালনার যোগ্যতা থাকলে তাকে মনোনয়ন করা যায়, চাই উত্তম বিষয়গুলো না থাকুক।
আর একে ফুকাহবীদদের পরিভাষায় رخصه অর্থাৎ ছাড়া বলে । আর সবচেয়ে পরহেজগার নেককার মুত্তাকী নির্বাচন করা হচ্ছে আজিমত, সর্বোত্তম আদর্শ স্তর। আর রুখসত এবং আজিম এর উদাহরণ হচ্ছে দুই নামাযী ব্যক্তির মত প্রথমজন নামাজ পড়ে এমনভাবে যেন সে আল্লাহকে দেখছে, অথবা আল্লাহ তাকে দেখছেন, এ কথা স্মরণে রেখে । এ ব্যক্তি সর্বোত্তম নামাজ পড়ছে। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি শুধু আরকান এবং শর্তগুলো আদায় করছেন। নামাজের একাগ্রতা ছিলনা তার নামাজে তাহলেও তার নামাজ আদায় হয়েছে বলে ধরা হবে ফিকাহ গবেষকদের নিকট। এটা রুখসতের স্তরের নামাজ।
অনুরূপ ইসলামী অর্থনীতিতে يسالونك عن الانفال অর্থাৎ সকল সম্পদকে আল্লাহর রাস্তায় দান করে দেয়া হচ্ছে আজমত। আর ফরয-ওয়াজিব পরিমান দান করা এবং বাকি সম্পদ নিজের কাছে জমা রাখা রুখসত এর সবক।
রুখসত এবং আজিমত এর মধ্যে দুনিয়াবী হুকুমগত পার্থক্য হচ্ছে। রুখসত প্রতিষ্ঠার জন্য শাসন চলে, প্রয়োজনে জিহাদ চলে। কিন্তু আজিমত প্রতিষ্ঠার জন্য শাসন এবং জিহাদ কোনটি চলেনা। আবু বকর রাযি.-এর শাসন আমলে যাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু যারা যারা মাল জমা করে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলো, যাকাত দিতে অস্বীকার করেনি, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা দেয়া হয়নি।
দীর্ঘ তিনটি ভূমিকা বুঝার পর আমরা কারবালার ঘটনার অবতারণা করছি ? প্রথমে হুসাইন রাযি. কারবালার ময়দানে কি উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ইতিহাস কখনো একথা স্বীকার করে না তিনি জিহাদের উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়েছিলেন ।
এর কিছু মজবুত প্রমাণ। এক. যদি জিহাদের জন্য যেতেন তাহলে অবশ্যই জেহাদের ঘোষণা দিয়ে যেতেন তা তিনি করেননি।
দুই. এ উদ্দেশ্যে গেলে অস্ত্রসজ্জিত অবস্থায় যেতেন তাও ঘটেনি।
তিন. উদ্দেশ্য জিহাদ হলে নারী-শিশুদের সঙ্গে নিতেন না।
চার. উদ্দেশ্য জিহাদ হলে ইয়াজিদের বাহিনী কুফার গভর্নর ওবায়দুল্লাহ বিন জিয়াদের যুদ্ধের প্রস্তাবে তিনি যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালেন কেন? এবং সীমান্তবর্তী কোথাও চলে যাওয়ার আবেদন এবং ইয়াজিদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতে অনুরোধ করলেন কেন?
এ থেকে বুঝে আসে হোসাইন রাযি. কারবালায় গমন জিহাদের উদ্দেশ্যে ধরা যাবে না। কেননা তখন তাকে فرار عن الذهب “যুদ্ধ থেকে পলায়ন” এর মত কঠিন অভিযোগে অভিযুক্ত করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। অথচ একজন জলিলুর কদর সাহাবীর ব্যাপারে এ ধরনের মন্তব্য করা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের আকীদার খিলাফ।
পাঁচ, যদি জিহাদের উদ্দেশ্যে গমন করতেন তাহলে হুসাইন রাযি. মক্কা থেকে কুফার দিকে রওনাকালে বিজ্ঞ বিজ্ঞ সাহাবায়ে কেরাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, ইবনে জুবায়ের ইবনে ওমর, রাযি. যারা জিহাদের জন্য সর্বক্ষণ উদগ্রীব তারা কেন তাকে যেতে বাধা দিলেন।
ছয়, কারবালার উদ্দেশ্যে গমনকালে তাকে যখন বারণ করা হচ্ছে তখন তিনি এ কথা কেন বললেন না আমি জিহাদের মতো মহান কাজে যাচ্ছি আপনারা কেন আমাকে বাধা দিচ্ছেন, পক্ষান্তরে তিনি তাঁদের উত্তরে বলেছিলেন কুফা থেকে শত শত চিঠির মাধ্যমে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাদের চাওয়া আমি যেন তাদের খলিফা নিযুক্ত হয় এভাবে হুসাইন রাযি. এর উত্তর দেওয়ার অর্থ কি হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে তিনি কোন উদ্দেশ্যে গমন করেন এ প্রশ্নের উত্তরে ইতিহাস একথাই বর্ণনা করে, ইয়াজিদের শাসনে কুফাবাসী অসন্তুষ্ট ছিলেন। জনগণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পৌত্রকে খলিফা দেখতে চান । তাই হুসাইন রাযি. আজিমত প্রতিষ্ঠা করার জন্য সফর শুরু করেন ।আর আজিমত প্রতিষ্ঠার জন্য যেহেতু কোন শাসন সংগ্রাম এবং জিহাদ চলে না তাই ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ তাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এই ছিল হোসাইন রাযি.-এর কারবালায় গমনের রহস্য। যা ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যায়।
কারবালার শিক্ষা
কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা থেকে আজিমত প্রতিষ্ঠার শিক্ষা পাওয়া যায় ।তাই এই শিক্ষাকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন এবং প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাবস্থায় উদগ্রীব থাকার দাবি রাখে। কিন্তু কারবালার শিক্ষার নামে সমাজে কিছু অর্থহীন বাক্কালাপ করা হয়। যেটা মূলত কারবালার শিক্ষা নয় এবং কারবালার মূল উদ্দেশ্য এর পরিপন্থী। যেমন কিছু মানুষ শ্লোগান তুলে কারবালা থেকে আমরা ইসলাম জিন্দা করার চেতনা খুঁজে পায়। আবার কেউ কেউ বলে থাকে اسلام زندہ ہوتا ہے ہر کربلا کے بعد “প্রত্যেকটি কারবালার পরেই মূলত ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়” এ ধরনের স্লোগান নিতান্তই অর্থহীন এবং কারবালার মূল উদ্দেশ্যের সাথে এর কোন সম্পৃক্ততা নেই ।বরং কারবালা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি এবং ভুল ব্যাখ্যা থেকে এ ধরনের চিন্তা জন্ম হয়।
কারবালার তাৎপর্য
কারবালার তাৎপর্য নিয়েও সমাজে কিছু বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা দেয়া হয়, যা কারবালার তাৎপর্যের সাথে কখনোই মানানসই নয়। যেমন বলা হয়ে থাকে, হুসাইন রাযি. কারবালায় গিয়েছিলেন বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, বাতিলের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য এবং রাজতন্ত্র উৎখাতের জন্য।
অথচ আমরা পূর্বেই আলোচনা করেছি হযরত মুয়াবিয়া রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু এর মনোনয়ন নিছক পুত্র হিসেবে ছিলনা বরং যোগ্য পুত্র হওয়ার কারণেই ইয়াজিদকে খলিফা নির্বাচন করেছিলেন, তাহলে তো রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তাহলে কোন রাজতন্ত্র উৎখাত করার জন্য হুসাইন রাযি. কারবালায় গিয়েছিলেন।
আর বাতিলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এ কথাটি কতটুকু সঠিক? এজিদ কি বাতিল ছিল? এজিদ কখনো বাতিল ছিল না। উনি কি ইসলামের বিরুদ্ধে কোন আইন চালু করেছিলেন? নাকি ইসলামিক কোন আইনকে রহিত করেছিলেন? যার ফলে উনাকে বাতিল বলে আখ্যায়িত করা হবে। উনার ব্যক্তিগত আমলের ত্রুটি ছিল। আর খলিফার ব্যক্তিগত আমলের ত্রুটির কারণে খলিফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা শরীয়তে অবকাশ নেই। তাহলে বাতিলের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এ ধরনের অমূলক কথা বলে নিজেদের বদ আমলের পাল্লা ভারী করার কোন অর্থ নাই। এবং দুশমন এর বিরুদ্ধে আপোষহীনতার পরিচয় দিয়েছিলেন এ ধরনের কথা কখনো প্রমাণিত হয় না।
কেননা ইয়াজিদ শাসন পেয়েছেন, রজব মাসে আর হোসেন রাযি.-এর নিকট পত্র আসা শুরু হয় রমজান মাস থেকে, তাহলে এই দুই মাসে কি দূষণ করে ফেলেছিলেন? যার ফলে দুঃশাসনে বিরুদ্ধে আপোষহীনতার পরিচয় দিতে গিয়েছিলেন হুসাইন রাযি.। তার ব্যাপারে এ ধরনের জজবামূলক কথা বলে উনাকে সম্মান করার নামে বরং উনার সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়।কেননা যদি একথা স্বীকার করে নেয়া হয় তিনি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আপোষ করেননি তাহলে প্রশ্ন উঠে অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম যারা তার সাথে কারবালায় যায়নি এবং যারা তাকে যেতে বারণ করেছিলেন উনারা কি দুঃশাসনের সাথে আপোষ করেছেন ?!!!
সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে এ ধরনের অমূলক চিন্তা কখনোই উম্মতের জন্য শোভনীয় নয়। তাই এসব কারবালার শিক্ষা ও তাৎপর্য আলোচনা করতে গিয়ে এ ধরনের অমূলক অর্থহীন কথাগুলোকে সমাজ ও জাতির সামনে ব্যক্ত করা কখনোই ইতিহাস নির্ভর নয় বরং কাল্পনিক এবং অতি জজবা মূলককথা।
তাই পূর্বে আমরা যা আলোচনা করেছি কারবালার মূল শিক্ষা, আজমতের শিক্ষা। আজিমত প্রতিষ্ঠায় জীবন ত্যগের শিক্ষা এবং কারবালার শিক্ষা রুখছতের বাহানা থেকে উঠে এসে আজমত এর মত উন্নতচরিত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে কারবালার রক্তাক্ত দ্বীনের শিক্ষা । তাই আমরা কারবালা থেকে একথা শিখতে পারি ব্যক্তি থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাষ্ট্র ,রাষ্ট্র থেকে পুরো ভূখণ্ডের মাঝে আজিমতের উন্নত চরিত্র প্রতিষ্ঠা করার শিক্ষা নিয়ে কারবালার মর্মান্তিক অধ্যায় স্মরণ করতে পারি। এবং মুসলিম সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ুক কারবালার সেই আজিমতের শিক্ষা।কারবালার ইতিহাস দুঃখগাথা ইতিহাস। হুসাইন রাযি. শাহাদাত চির অমর সে শাহাদাত। তার শাহাদাতের মর্যাদা আরো বৃদ্ধি পাক। আমিন।
গ্রন্থপঞ্জি
১.আকবরশাহ নুজিববাদী {প্রথম খন্ড}
২.আহকামে সুলতানিয়া {আবুল হাসান}
৩. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া {ইবনে কাসীর}
৪.আল কামেল ফিত তারিখ {ইবনে আসির}
অনুলিখন: কাউসার আইয়ুব
-এটি