মূল: মুফতি তাকি উসমানি
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ নোমান
রাসুল সা. বলেছেন, আমরা মুসলিমরা আশুরার দিন রোজা রাখি এবং ইহুদীরাও এদিন রোজা রাখে। ফলে তাদের সাথে আমাদের কিছুটা সাদৃশ্য দেখা দেয়। এ কারণে আগামী বছর আমি জীবিত থাকলে শুধু আশুরার দিন রোজা রাখবনা বরং এর সাথে মিলিয়ে ৯ই বা ১১ই মুহাররম একদিন বাড়িয়ে রোজা রাখব।যাতে ইহুদীদের সাথে সাদৃশ্য আর অবশিষ্ট না থাকে।
রাসুল সা. এর এই হাদিসে আমাদের জন্য বিরাট শিক্ষা রয়েছে। তা হলো রাসুল সা. অমুসলিমদের সাথে সামান্য পরিমাণ সাদৃশ্যও পছন্দ করেননি। যদিও এই সাদৃশ্য কোনো হারাম বা নাজায়েয কাজের ক্ষেত্রে ছিলোনা। বরং এমন দিনের সাথে সাদৃশ্য ছিলো যেদিন ইহুদীরা এবং আমরা উভয়েই রোজা ও ইবাদত করে থাকি। তারপরও রাসুল সা. সামান্য এই সাদৃশ্য থাকাও পছন্দ করেননি।
কিন্তু কী কারণে তিনি পছন্দ করেননি জানেন? এটা এ কারণে যে আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম দান করেছেন, সেটি সকল ধর্মের চেয়ে উত্তম এবং শ্রেষ্ঠ। তাই একজন মুসলিমের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ও উত্তম হওয়া উচিত। একজন মুসলিম তার চলাফেরা, ওঠাবসা, চারিত্রিক ও ইবাদত এবং অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও তাদের চেয়ে উত্তম থাকবে।
রাসুল সা. যেখানে ইবাদত এবং নেক আমলের ক্ষেত্রে সাদৃশ্য থাকাকে অপছন্দ করেছেন, সেখানে মুসলিমরা যদি দেনন্দিন জীবনে তাদের কাজেকর্মে অমুসলিমদের সাথে সাদৃশ্য বজায় রাখে তবে এটি কতটা দুঃখজনক ব্যাপার হবে তা আমাদের ভেবে দেখা উচিত। আর অমুসলিমদের সাথে সাদৃশ্য রাখা যদি তাদেরকে অনুসরণ ও অনুকরণের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে তবে সেই ব্যক্তির কবিরা গুনাহ হবে।
-্এটি