আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর এবং ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী রহ. ছিলেন একজন সৎসাহসী, নির্লোভ-নির্ভিক ও হক্কানী আলেম। তিনি কোরআন সুন্নাহর বিষয়ে কোন বাতিল ও তাগুতি শক্তির সাথে কখনো আপোষ করতেন না।
বৃহস্পতিবার কামরাঙ্গীরচর মাহমুদিয়া দারুল উলুম মাদরাসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রখ্যাত আলেম আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী রহ. এর স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে ফতোয়া বিরোধী রায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ জন শাহাদাৎ বরণের পর আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজীই সর্বপ্রথম শহীদ ও আহত পরিবারের খোঁজ খবর নেন, চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা করেন। ফতোয়া বিরোধী রায় বাতিল এবং হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কুরআন-হাদিস প্রচার- প্রসারে তার অপরিসিম ত্যাগ ও কুরবানী জাতির কাছে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার ইন্তেকালে জাতি একজন মুখলেস, নক্ষত্রতুল্য দ্বীনের রাহবারকে হারালো।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী আরও বলেন, আল্লামা সিরাজী ছিলেন যোগ্যপিতার যোগ্য উত্তরসূরী। তিনি হাদিসের দরসে ছিলেন একজন বিখ্যাত হাদীস বিশারদ। বয়ানের মজলিসে ছিলেন একজন কোরআন- হাদিসের সুন্দর বিশ্লেষক - ব্যাখ্যাকার ও সুবক্তা। তাসাউফ জগতে ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক সাধক ও অলিয়ে কামেল।
মুফতি আখতারুজ্জামান আশরাফী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশিষ্ট মুরব্বী ও ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খুল হাদীস আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী ছিলেন আদর্শ মানুষ গড়ার একজন দক্ষ কারিগর। তিনি তার পিতা আল্লামা সিরাজুল ইসলাম বড় হুজুর রহ. এর আদর্শ লালন করে আজীবন ইসলামের খেদমত করে গেছেন। তিনি হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গছেন।
আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী রহ:এর মাগফেরাত ও জান্নাতের উচ্চ মাকাম কামনা করে মহান আল্লাহ তা‘আলার দরবারে দোয়া করেন দোয়া মাহফিলের সভাপতি মুফতি জসিম উদ্দিন কাসেমী।
দারুল উলুম ছাতা মসজিদ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি জসিম উদ্দিন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুফতি আখতারুজ্জামান আশ্রাফী, মুফতি আব্দুল্লাহ কাসেমী ও মাওলানা নাসির উদ্দিন প্রমূখ।
-এএ