আওয়ার ইসলাম।।
প্রশ্ন :
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম।
১) দারুল কুফরে পড়াশোনার জন্য যাওয়া বা স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি? দারুল কুফরে অবস্থান করা যদি নাজায়েজ হয় তবে সেখানে জন্মসূত্রে বসবাসকারি মুসলিমরা কি করবে? দারুল কুফরে অবস্থান করে দাওয়াহর কাজ করবে নাকি হিজরত করবে?
২) ফিতনার আশঙ্কায় সব মুসলিমরা হিজরত করলে তো দারুল কুফর কখনই দারুল ইসলামে আনা যাবে না। সাহাবা(রা) গণ দারুল কুফরে গিয়ে দাওয়াহ ও জিহাদের মাধ্যমে দারুল ইসলামে এনেছেন। কিন্তু তার আগে তো উনারা ওই দারুল কুফরেই অবস্থান করেছিলেন।তাই না?
আশা করি জবাব দিয়ে বাধিত করবেন। জাযাকাল্লাহ খায়রান।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামের শুরু যুগে তথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রাথমিক মক্কী জীবনে হিযরত করা ফরজ ছিল। নিরাপত্তা থাকুক বা না থাকুক। কিন্তু মদীনায় গমণ করার পর এ বিধান রহিত হয়ে গেছে। এখন বিধান হল, যদি দারুল হরব তথা দারুল কুফরে কোন ব্যক্তি কুফর শিরকে লিপ্ত হওয়া ছাড়াই নিরাপদে তার স্বীয় ধর্ম পালন করতে পারে, তাহলে তার জন্য হিযরত করা জরুরী নয়। উক্ত ব্যক্তি দারুল কুফরে অবস্থান করতে পারে।
আশা করি আপনার উভয় প্রশ্নের জবাব পরিস্কার হয়ে যাবার কথা। যদি দারুল কুফরে থেকে স্বীয় দ্বীন সঠিকভাবে পালন করা যায়, তাহলে হিযরত করে অন্যত্র চলে যাবার কোন প্রয়োজন নেই। বরং দারুল হরবেই অবস্থান করা যাবে।
قيل اى المقام فى دار الشرك لان الله لم يقبل الاسلام بعد هجرة النبى صلى الله عليه وسلم الا بالهجرة، ثم نسخ بعد فتح مكة فقال النبى صلى الله عليه وسلم لا هجرة بعد الفتح الخ (تفسير بغوى-1/469 سورة النساء-97)
ان فى بدء الاسلام كانت الهجرة البتة واجبة سواء قدر على اقامة دينه او لا، ولا شك فى نسخه وفى الزمان ان لم يتمكن من اقامة دينه بسبب ايدى الظلمة والكفرة يفرض عليه الهجرة وهو الحق، (تفسير احمدى-202، سورة النساء-97
والله اعلم بالصواب