আওয়ার ইসলাম
চৈত্রের খরতাপে অসহিষ্ণু গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। বাহিরে বের হলেই অস্বস্তি, ক্লান্তি আর সূর্যের তাপে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, বমি বমিভাব হওয়া, অল্পতেই অসুস্থ ইত্যাদি সমস্যা হওয়াও খুবই স্বাভাবিক। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে রাস্তার পাশে শরবত, ফলের রস না খাওয়াই উত্তম । কারণ এতে ধূলাবালি, অপরিচ্ছন্নতা ছাড়াও যে বরফ এবং পানি ব্যবহার করা হয় তা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
জেনে নিই সুস্থ থাকার কিছু সহজ উপায়:-
১) গরমে প্রায় সবাই ঠান্ডা পানি খেতে পছন্দ করে। তবে অতিরিক্ত গরমের মধ্যে কখনও হুট করে বেশি ঠা-া কিছু খেলে সর্দি-কাশি বা জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২) এছাড়া এই সময় পানিবাহিত রোগ যেমন ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, বমি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই মৌসুমি রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে চাই সাবধানতা। প্রচুর পরিমাণে ওরাল স্যালাইন, পানি ও পানিজাতীয় খাবার, ডাবের পানি ইত্যাদি পান করতে হবে।
৩) এছাড়াও বাইরের ভাজাপোড়া বা তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় পানি ও স্যালাইন সঙ্গে নিয়ে বের হবেন। অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। পনির, মাখন ও চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।
৪) কিছুক্ষণ পর পর মুখে ঠা-া পানির ঝাপটা দিতে পারেন। ভেজা টিস্যু দিয়ে গলা ও ঘাড় মুছে নিলেও গরমের ক্লান্তি দূর হবে অনেকটাই।
৫) গরমে সুতি পোশাক পরাই ভালো। ঢিলাঢালা ও আরামদায়ক পোশাক দিনভর স্বাচ্ছন্দ্যে রাখবে আপনাকে।
৬) সুস্থতার জন্য নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ভোরবেলা অথবা সন্ধ্যায় সাঁতার, ইয়োগা কিংবা জগিং করতে পারেন।
৭) শরীর ঠা-া রাখতে প্রাকৃতিক কুলিং মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ময়েশ্চারাইজারের বদলে অ্যালোভেরা জেল ফ্রিজে রেখে তারপর ত্বকে লাগান। শরীর ঠা-া থাকবে।
৮) তীব্র রোদে ত্বকে বাদামি দাগ দেখা যায় অনেক সময়। অবশ্যই ছাতা এবং সানগ্লাস নিয়ে বের হবেন। সূর্যের প্রখর তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। ত্বক রোদে পুড়ে গেলে আলু ও শসার রস লাগান। টকদই রোদে পোড়া ভাব দূর করে।
৯) ভোরে ও রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করে নিতে পারেন। ঘুম ভালো হবে ্ও সারা দিনে স্বস্তিতে থাকতে পারবেন। বিছানার চাদর ও বালিশের কভার যেন সিনথেটিক না হয়। এগুলোতে গরম লাগে বেশি।
-এটি