আওয়ার ইসলাম: বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের ফোনালাপ ও তার ওপর আরোপিত অনিয়ম নিয়ে ফেসবুকে কিছু লেখালেখি বিষয়ে জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসার শিক্ষকরা অভিমত প্রকাশ করেছেন।
ফরিদাবাদ মাদরাসার প্যাডে শিক্ষকদের অভিমতটি রোববার দুপুরে ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। তাতে মাদরাসাটির বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষকের স্বাক্ষর রয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদাবাদ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি নুরুল আমিন আওয়ার ইসলামকে বলেন, ফরিদাবাদ মাদরাসার মোহতামিমের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি হচ্ছে। তাই ২৩ জুলাই মাদরাসার শিক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে চিঠিটি প্রকাশ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আম্বিয়ায়ে কেরাম ব্যতীত আমরা সাধারণ মানুষের কেউ দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত নই। আল্লাহ সাত্তার (দোষ গোপনকারী) আপন সাত্তারিয়াতের মাধ্যমে অনুগ্রহ করে আমাদের দোষগুলো গোপন রেখেছেন। নচেৎ সব দোষ প্রকাশ হলে আমরা হয়তো লজ্জিত হব।
আমরা জামিয়ার আসাতেযায়ে কেরাম জামিয়ার শ্রদ্ধেয় মুহতামিম সাহেব সম্পর্কে এ অভিমত ব্যক্ত করছি যে, তিনি আমাদের শ্রদ্ধাভাজন ও আমানতদারির ব্যাপারে। আস্থাভাজন। তাঁর এহতেমামের যুগেই জামিয়ার সিংহভাগ উন্নতি সাধিত হয়েছে। আমরা তাকে মুরব্বী মেনে আসছি এবং ভবিষ্যতেও মানবো ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা তাকে আপন পদে সসম্মানে রাখুন, তাঁকে, আমাদের সবাইকে এবং সমস্ত দ্বীনি এদারাকে এ ফেতনাপূর্ণ যমানায় সমস্ত শুরুর ও ফিতান থেকে মুক্ত রেখে মাওলায়ে পাকের সন্তুষ্টির কাজে নিয়োজিত রাখুন। আমীন।
প্রসঙ্গত, বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফ, বেফাকের পরিদর্শক মাওলানা ত্বহা এবং মাওলানা আবদুল গণীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। ২৮ জুলাই বেফাকের খাস কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ১৮ আগস্ট বেফাকের আমেলা ও শুরার সদস্যদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
-এএ