আওয়ার ইসলাম: কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা অর্থ গরীবের হক। তাই সবাই চেষ্টা করে কোরবানির পশুর চামড়া ন্যায্য দামে পশুর চামড়া বিক্রি করতে। চামড়ার দাম প্রতিবছর সরকার নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু তারপরও মৌসুম চামড়া ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দাম হাঁকেন। তখন অনেকে পরের দিনের জন্য চামড়া রেখে দেন। যাতে ভালো দাম পাওয়া যায়। এতে করে চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই জেনে নিন চামড়া সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলো।
১. কোরবানি দেয়া ও চামড়া ছাড়ানোর জন্য দক্ষ লোক বেছে নেয়া জরুরি। ২. জবাইয়ের পর পশুকে শক্ত কোনো খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে দিলে চামড়া ছাড়ানো সহজ হয়। খুঁটির সঙ্গে বেঁধে জবাইয়ের দাগ থেকে ধারালো ছুরি দিয়ে ধীরে ধীরে হালকা করে নিচের দিকে টেনে আলাদা করতে হবে চামড়া।
৩. চামড়া ছাড়ানোর পর লেগে থাকা রক্ত ও চর্বি যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে ফেলুন। না হলে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে চামড়ার সতেজ ভাবটা নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া দ্রুত পচন ধরে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। পরিষ্কার পানি দিয়ে চামড়া ভালো করে ধুয়ে হালকা রোদে দিন পানি ঝরে যাওয়ার জন্য।
৪. চামড়া এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়ার সময় চামড়া টানা-হেঁচড়া করবেন না। ৫. চামড়া ছাড়ানোর তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে তা বিক্রি করা না গেলে দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত।
৬. লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। সংরক্ষণ করার জন্য চামড়ার ধরন বুঝে লবণ লাগাতে হবে। সাধারণত চামড়ার ওজনের বিশ শতাংশ হারে লবণ ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, চামড়ার ওজন ১৫ থেকে ২০ কেজি হলে লবণ ব্যবহার করতে হবে ৩ থেকে ৪ কেজি। চামড়া বিছিয়ে তার ওপর লবণ ছিটিয়ে দিলে চামড়ায় থাকা পানি ও ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে আসে। তারপর চামড়া ভালো করে ভাঁজ করে রাখতে হয়। লবণের পর্যাপ্ততা না থাকলে লবণ ও পানির মিশ্রনের সাহায্যেও কিছুদিন চামড়া সংরক্ষণ করা যায়।
৭. চামড়া রোদে শুকিয়েও সংরক্ষণ করতে পারেন। খোলা স্থানে বিছিয়ে বা তারের সাথে চামড়া ঝুলিয়ে রোদে শুকিয়ে নেওয়া যায়। তবে দীর্ঘক্ষণ রোদে শুকালে অনেক সময় চামড়ার গুনাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই লবণ পদ্ধতিই সবচেয়ে নিরাপদ।
৮. চামড়া সংরক্ষণ করতে পারেন হিমাগারেও। ট্যানারিগুলোতে সাধারণত চামড়া সংরক্ষণ করার জন্য হিমাগার থাকে। ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক রাসায়নিক দ্রব্যের সাহায্যে সেখানে সংরক্ষণ করা হয় পশুর চামড়া।
-এএ