শায়খ ডক্টর সা'দ আল আতীক হাফি
প্রফেসর ইমাম মুহাম্মদ বিন সাউদ ইউনিভার্সিটি
অনুলিপি, মুহাম্মদ ইশরাক
আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ। শয়তানকে বিতাড়িত করতে, অন্তরে প্রশান্তি আনতে, ঈমানের স্বাদ পেতে জিলহজের এই সময়ে মুমিনের যে অভ্যাস জোরালো করতে হবে তা হলো বেশি বেশি আল্লাহকে স্বরণ করা এবং তাঁর জিকিরে মশগুল থাকা।
আল্লাহ তায়ালা জিকিরের এবং জিকিরকারীর প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, আর বেশি বেশি জিকিরকারী পুরুষ ও নারী। উমর রা. আবু হুরায়রা রা. সহ অনেক সালফে সালেহীন বাজারি লোকেদের জিকির করার স্বরণ করে দেয়ার জন্য বাজারে প্রবেশ করতেন যেন তারা এ থেকে গাফেল না থাকে। হজের সময় উচ্চ স্বরে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক বলতে থাকতেন অন্য সময় বাজারে ইত্যাদিতে স্বরবে 'আল্লাহু আকবর' 'আল্লাহু আকবর' বলতেন।
এ দিনগুলোতে মিনা প্রান্তর 'লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক' ধ্বনিতে প্রতিধ্বনিত হতো। মুসলিম বসতিগুলো আল্লাহু আকবর 'আল্লাহু আকবর' রবে প্রকম্পিত হতো। আল্লাহু আকবর এটাতো তাওহীদের এলান ও একত্ববাদের ঘোষণা।
আমি আশ্চর্যান্বিত হই আমাদের অনেক স্বরবে তাকবির বলতে লজ্জা বোধ করেন। অনেকে তো রাগ হয়ে যান। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিলহজের দশ দিনে তিনটি আমল বেশি বেশি করার আদেশ দিয়েছেন,
১. তাহলীল তথা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
২. তাহমীদ তথা আলহামদুলিল্লাহ
৩. তাকবীর আল্লাহু আকবর এবং সাথে ইসতেগফার।
সবসময় এগুলো পড়তে থাকুন। এগুলো ইসলামের শিয়ার ও পরিচয়বাহক। এ ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহ আকবর আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
বাড়িতে যখন প্রবেশ করবেন জোরে জোরে তাকবির বলুন। পরিবারের সদস্যদের স্বরণ করে দিন। ছোট বাচ্চাদের এ আমল শিক্ষা দিন।তাদেরকে বলুন আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ আর অন্য সবকিছু তুচ্ছ।
-এটি