আওয়ার ইসলাম: দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। মুসলমানদের একটি বৃহৎ দ্বীনি উৎসব। যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তার জন্য কুরবানি করা ওয়াজিব এই ঈদে। আর এ কুরবানির মাধ্যমে মহান আল্লাহ ও তাঁর বান্দাদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আর বান্দা আল্লাহর নামের কুরবানি করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার উপর খুশি হোন। তাই এ কুরবানি শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই করা হয়।
বিশ্বজুড়ে করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে কুরবানি না করে তার অর্থ দান করা যাবে কি না তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে৷ দারুল উলূম দেওবন্দ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পশু কুরবানির বিকল্প নেই৷ কুরবানি না করে তার অর্থ দান করা যাবে না।
হযরত ইব্রাহিম আ. পশু কুরবানির মাধ্যমে এ ইবাদত চালু করেছিলেন৷ আমাদের নবি হযরত মুহাম্মদ সা.-এর সময়েও তা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে৷ কোনও প্রেক্ষাপটেই একজন সামর্থ্যবান মুসলিম আল্লাহকে রাজি-খুশি করার উদ্দেশ্যে কুরবানি করা থেকে বিরত থাকতে পারেন না৷
স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বিধান আদায় করতে হবে। কুরবানির পর রক্ত, হাড় যেন যথাস্থানে ফেলা হয় সে পরামর্শও তারা দিয়েছে দেওবন্দ৷ করোনার প্রেক্ষাপটে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ ভারতের মুসলিমরা বাড়িতেই আদায় করেছিলেন৷ ঈদুল আজহাও বাড়িতেই পালন করার অনুরোধ জানিয়েছে শরীয়াহ কাউন্সিল৷
কেউ যদি নির্দিষ্ট দিনে কোনো কারণে কুরবানি করতে সক্ষম না হন, তবে তাকে কুরবানির পশুর সমপরিমাণ অর্থ দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করতে হবে বলেও জানিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ। সূত্র: দেওবন্দের অনলাইন ফতোয়া সাইট
-এটি