ডা.রিফাত আল মাজিদ,
পরিচালক, সেন্টার ফর সাইকোট্রমাটোলজি এন্ড রিসার্চ>
করোনার থাবায় এমনিতেই বিপর্যস্ত আমরা, প্রায় দুই মাস ধরে চলছে অঘোষিত লকডাউন। এর মধ্যেই মরার উপর খাড়া হয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় 'আমফান'। ধারনা করা হচ্ছে শক্তিমত্তার দিক থেকে সিডর এবং আইলা থেকে কোন অংশে কম নয় এই ঘূর্ণিঝড়টি।
প্রথমে ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ ভিন্ন থাকলেও এখন একদম নিশ্চিতভাবেই ঝড়টি বাংলাদেশের দিকে এগুচ্ছে। ২০ মে রাতে এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছে। ইতিমধ্যে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সুমুদ্রবন্দরকে ৬ নাম্বার বিপদ সংকেত দেখিয়েছে।
হাতিয়া, খুলনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে। সারা দেশের প্রায় ১২ হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মনে রাখবেন, সম্পদের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। এছাড়া করোনার ব্যাপারটা মাথায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করবেন। সবসময় মাস্ক পরে থাকবেন এবং যথাসম্ভব সাবান অথবা হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুঁয়ে ফেলতে হবে।
সর্বশেষ একটি সুখবর দিয়ে শেষ করি, বরাবরের মতোই আমফানকে অনেকটাই দুর্বল করে দিবে আমাদের ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা সুন্দরবন। তাই অযথা ভয় না পেয়ে মনকে শান্ত রাখুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে ডায়াল করুন ১০৯০ নম্বরে।
-এটি