শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

ইসলামের ইতিহাসে ঐতিহাসিক বিজয়ের নাম বদর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তারেক জামিল ।।

রাসূল সা. যে সকল যুদ্ধে স্বয়ং অংশগ্রহণ করেছেন তাকে গাজওয়া বলে,ইসলামের ইতিহাস এর বড় ধরনের গাজওয়া হল বদর,দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান এই যুদ্ধ সংগঠিত হয়,হিজরত এর পর মুসলমান ও কাফেরদের মাঝে যুদ্ধের ভাব বিরাজমান ছিল,যখন প্রিয় নবীজি জানতে পারলেন আবু সুফিয়ান এর নেতৃত্বাধীন একটি বাহিনী সিরিয়া থেকে মক্কা রওয়ানা হয়েছেন তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এই বাহিনীকে বাধা দিবেন।

এদিকে আবু সুফিয়ান এ খবর পেয়ে কোরাইশদের তার কাফেলার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বললেন,মক্কার কোরাইশ নেতারা এক বিশাল বাহিনী নিয়ে মদীনা অভিমুখে যাত্রা করল,তারা ছিল সাড়ে নয়শ লোক এবং বাহন ছিল সাতশ উট ও সত্তরটি ঘোড়া।

এদিকে আবু সুফিয়ান ভিন্ন পথে সাগর উপকূল দিয়ে যেতে লাগলেন এবং যখন জানতে পারলেন বিপদ এর কোন সম্ভাবনা নেই তখন কোরাইশদের ফিরে যেতে বললেন, কিন্তু আবু জাহেল ফিরে যেতে চাইল না,সে সিদ্ধান্ত নিল বদর প্রান্তরে অবস্থান করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবে এই সংবাদ পেয়ে প্রিয় নবী সা. সাহাবাদের সাথে পরামর্শ করে তখন ৩১৩ জন সাহাবীকে নিয়ে বদর এর পথে রওয়ানা হলেন,তাদের বাহন ছিল সত্তরটি উট ও দুইটি ঘোড়া।

বদর প্রান্তরে গিয়ে রাসূল সা. মুজাহিদদের উৎসাহিত করলেন, ১৭ রমজান শুক্রবার যুদ্ধের জন্য মুসলমানদের ক্ষুদ্র বাহিনী ও মুশরিকফের বিরাট বাহিনী প্রস্তুত, তৎকালীন নিয়মানুযায়ী যুদ্ধ আরম্ভ হল, মুশরিকদের থেকে তিনজন উতবা,শাইবা ও ওয়ালিদ এসে লড়াইয়ের জন্য আহব্বান করল,মুসলমানদের থেকে তিনজন আনসার সাহাবী বের হল, কিন্তু কাফেররা বলল তারা তাদের বংশের সমকক্ষ লোকজন এর সাথে লড়তে চাই,পরে রাসূল সা. এর আদেশে হযরত হামযা, উবাইদা,আলী রাযি. বের হল,তাদের মধ্যে উবাইদাহ রাযি. শাহাদাৎ বরণ করল

বদর যুদ্ধে সাহাবায়ে কেরাম অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন ও সাহস প্রদর্শন করেছেন, মাআজ ও মুয়াজ নামক দুই ছোট সাহাবি আবু জাহেল এর উপরে বাজ পাখির ন্যায় ঝাপিয়ে পরে তাকে হত্যা করল

এ যুদ্ধে ইসলামের বিরাট বিজয় হল, এ যুদ্ধতে কোরাইশদের অনেক সর্দার নিহত হল, আবু লাহাব যুদ্ধে না আসায় বেচে গেল, কাফেরদের সত্তর জন নিহত ও সত্তর জন বন্দী হল, মুসলমানদের ৮ জন আনসার ও ৬ জন শহিদ হলেন।

যুদ্ধ শেষে মুক্তিপণ নিয়ে বন্দীদের মুক্ত করা হল, আর যারা মুক্তিপণ দিতে অক্ষম তারা শিশুদের লেখাপড়া শিখানোর বিনিময়ে মুক্তি পেল, আর যারা একেবারে অক্ষম তাদের এমনেই মুক্তি দেওয়া হল।

এই যুদ্ধের প্রভাব ছিল এই যে,অনেক লোক যুদ্ধের ফলাফল দেখে মুসলমান হল,ইসলাম আরব বিশ্বে খুব শক্তিশালী ধর্ম হিসেবে পরিচিত হল,যে কোন সংকট মুসলমান আল্লাহর সাহায্য যে পাই তা এই যুদ্ধে প্রমাণিত হল

ইসলামের ইতিহাসে বদর একটি ঐতিহাসিক বিজয় এর নাম,আজ আমরা বদর এর শিক্ষা নিয়ে সামনে চলতে হবে,বদর এর সাহাবীদের ন্যায় ঈমানকে দৃঢ়ায়ন করতে হবে, তাহলে আজও বিশ্বের বুকে মোরা আবারো ইসলামের পতাকা উড্ডীন করতে সক্ষমতা লাভ করব

লেখক-শিক্ষার্থী,জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ