হুমায়ুন আইয়ুব
সম্পাদক, আওয়ার ইসলাম>
করোনা পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। কর্মহীন হয়ে পড়ায় চরম অর্থাভাবে পড়েছে দেশের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ ছুটি চলায় অর্থনৈতিকভাবে চরম সংকটে পড়েছে মানুষ।
এ সংকটের কবলে পড়েছে কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের পরিবারও। অধিকাংশ শিক্ষকের বক্তব্য, তারা বেতন পাচ্ছেন না মাদরাসার কর্তৃপক্ষ থেকে। এদিকে এ অসহায় অবস্থাতেও হাত পেতে চাইতে পারছেন না চক্ষুলজ্জার ভয়ে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারি অনুদান গ্রহণ করা না করা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে অভিমত। কেউ বলছেন সরকারি অনুদান গ্রহণ কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য পরিপন্থি। আবার কেউ বিবেচনা করছেন, সারাজীবন সরকারকে কর দিয়েও অন্তত আপদকালীন সময়ে সামান্য অর্থ সহযোগিতা কেন পাবে না শিক্ষকরা?
সরকারি অনুদান গ্রহণ কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য পরিপন্থি: মাওলানা মামুনুল হক
সিনিয়র মুহাদ্দিস জামিয়া রাহমানিয়া। তিনি বলেন, আপৎকালীন সময়ে রাষ্ট্র তার সর্বশ্রেণীর মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে, ভূমিকা পালন করবে -এটা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোর প্রয়োজন। তাই আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। এ মন্তব্য সরকারের দিক থেকে বিবেচনা করে বলছি।
তবে কওমি মাদরাসার চিন্তাটা কওমি মাদরাসার মতো করেই করতে হবে। সরকারিভাবে যেকোনো ধরনের অনুদানের সঙ্গে অনেক বিষয়ের সংশ্লিষ্টতা থাকে। সরকারি অনুদান না নেয়া কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য। এটাকে কোনোভাবে গুরুত্বহীন বা দুর্বল করার সুযোগ নেই। বরং গণমানুষের সাহায্য-সহযোগিতা নির্ভরতার যে পদ্ধতি প্রচলিত আছে সেটাকেই বহাল রাখতে হবে যেকোনো মূল্যে।
সরকারি সহযোগিতা কওমি মাদরাসায় অফিশিয়ালি আসা শুরু হলে, দুটি সমস্যা হতে পারে।
প্রথম সমস্যা সরকারি অফিশিয়াল সিস্টেমের বিভিন্ন গেরাকলে পড়ে যাবে মাদরাসাগুলো। পর্যায়ক্রমে মাদরাসা সরকারি বিভিন্ন সিস্টেমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে।
যে সমস্ত জায়গায় সরকার অর্থায়ন করে থাকে সেখানে নজরদারি ও হস্তক্ষেপের স্কোপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তাই আমি মনে করছি এর মাধ্যমে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা নষ্ট হওয়ার একটি পথ উন্মুক্ত হতে পারে।
দ্বিতীয় সমস্যা হলো সরকার যখনই কোন অনুদান দিবে স্বাভাবিকভাবে এটা গোপন রাখবে না বরং যতটুকু দেয়া হবে এর চেয়ে বেশি প্রচার করবে।
এই প্রচারণায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। মানুষ ভাবতে শুরু করতে পারে, সরকারিভাবে তো মাদরাসা গুলোকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। কাজেই সাধারণ মানুষের মাদরাসা গুলোর সঙ্গে যে সংশ্লিষ্টতা এবং উদারহস্তে সহযোগিতার ধারা ব্যাহত হতে পারে।
এমনকি মানুষের মাঝে এমন ধারণাও তৈরি হতে পারে, যেমনটি সরকারি মাদরাসার বিষয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা আছে। ওগুলো তো সরকার চালায়, কাজেই আমাদের সহযোগিতা দরকার কী?
কিন্তু বর্তমানে সাধারণ মানুষ মনে করে এই মাদরাসাগুলো আমাদের এবং আমাদেরই পরিচালনা করা উচিত। তারা কওমি মাদরাসাকে তাদের আত্মার প্রতিষ্ঠান মনে করে। সেই অনুভূতি থেকে মাদরাসাগুলোর সহযোগিতায় সাধারণ মানুষ সবসময় সম্পৃক্ত থাকে।
আমার বিশ্বাস, বর্তমানে অচল অবস্থায় মাদরাসাগুলো যদি জনগণের কাছে নিজেদের অচলাবস্থা তুলে ধরতে পারে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহর পক্ষ থেকে সকল আয়োজন সম্পন্ন হবে। সাধারণ মানুষের মন কওমি মাদরাসা গুলোর প্রতি আরো বেশি ধাবিত হবে। ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতেই মাদরাসাগুলোর সমস্যা সমাধান হতে পারে।
তবে সরকারি সহযোগিতা কওমি মাদরাসাগুলোতে আসতেই পারে। সেটা জাতীয়ভাবে নয়। অফিশিয়ালি কোন যোগাযোগের মাধ্যমে নয়। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা তাদের জনগণ নিয়ে ভাবে। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা দিয়ে থাকে, এলাকার এমপি মন্ত্রীরা সরকারিভাবে নানা ধরনের বরাদ্দ এনে দিয়ে থাকে।
সেইভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কিছু সহযোগিতা করতে পারেন। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মত তাদের মাঝেও কিছু বরাদ্দ আসতে পারে। এটি তেমন ক্ষতিকর মনে হচ্ছে না। কিন্তু অফিশিয়ালি যদি কোন অনুদান আসে তাহলে কওমি মাদ্রাসার চলমান ধারা ও ঐতিহ্য পদ্ধতিটা ব্যাহত হতে পারে।
উসূলে হাসতেগানা ও কঠিন পরিস্থিতি; দুটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: কবি মুসা আল হাফিজ
খ্যাতিমান কবি ও গবেষক কবি মুসা আল হাফিজ বলেন, কওমি মাদরাসা সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত থাকতে বরাবরই প্রয়াসী। উসূলে হাশতেগানার স্পষ্ট দাবি হচ্ছে, সরকারী অনুদান থেকে দূরে থাকা, তা গ্রহণ না করা। মাদরাসা বরাবরই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার চেষ্টা করেছে। নিকট অতীতে কওমী মাদরাসা নানাভাবে সরকারি সম্পৃক্ততাকে জায়গা দিয়েছে, স্বীকৃতি ও এ কেন্দ্রিক নানা কারণে সেটা বিশেষ এক মাত্রা পেয়েছে।
তারপরও সরকারি অনুদান গ্রহণে কওমি মাদরাসার সতর্কতার মৌলিক ও বাস্তবসম্মত কারণ রয়েছে।
কিন্তু করোনাকালীন সঙ্কটে একটি জরুরী পরিস্থিতি চলছে। কওমি মাদরাসার সাথে সম্পৃক্ত বিপুল জনগোষ্ঠী এ পরিস্থিতির বাইরে নয়। অভাব ও অর্থ সঙ্কট এমন এক হুমকি তৈরী করেছে, যা বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের পাশাপাশি কওমি শিক্ষক- শিক্ষিকাদের প্রতিও প্রবলভাবে চোখ রাঙাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে বিশেষ বিবেচনায় আনা যেতেই পারে। সরকারের দেয়া অর্থ মানে সরকারের অর্থ নয়। এটা জনগণের টাকা।এখানে সবার পাওনা রয়েছে। কওমি শিক্ষকরা এ দেশের নাগরিক। অন্যান্য শ্রেণি ও পেশার নাগরিকরা নাগরিক হিসেবে সরকারি সহায়তা যদি পান, কওমি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা কেন সেটা পাবে কওমী শিক্ষক হিসেবে? এটা যদি প্রক্রিয়াগত কারণে হয়, আমি বলবো, এখানে সমস্যা রয়ে গেছে।
কওমী মাদরাসার বোর্ড যদি কোনো কারণে প্রতিষ্ঠানগতভাবে সহায়তা না চায়, এখানকার জনগোষ্ঠী কি নাগরিক হিসেবে সরকারী সহায়তা লাভের অধিকার হারিয়ে বসে?
আর বোর্ড যদি উসূলে হাশতেগানার কারণে সরকারী অনুদান গ্রহণে অসম্মত হয়, তাহলে সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষকদের জন্য বিকল্প কী পরিকল্পনা নিয়েছে বোর্ড?
অনুদানকে না বলে দিলেই তো দায় সারা হয়ে যাচ্ছে না।বরং নতুন দায় ও কর্তব্য সামনে এসে হাজির হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বোর্ডের পরিকল্পনা কী, সেটা তো সুস্পষ্ট হওয়া দরকার।
ধর্মপ্রাণ দানশীল জনগণের সহায়তা থেকে দুর্যোগকালীন ফান্ড যেমন তৈরী করা যায়, তেমনি বোর্ড সমূহ পারে আপৎকালীন সহায়তা নিশ্চিত করতে। কিন্তু এর পরিসর ও পরিমাণ পর্যাপ্ত না হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে সরকারী সহায়তার বিষয়টি সামনে আসে স্বাভাবিকভাবে। এ সহায়তা দরকার।
কিন্তু হাইয়াতুল উলইয়া বা বেফাকের নামেই তা গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা আছে কি না, সেটা স্পষ্ট নয়। সহায়তাকে কীভাবে গ্রহণ করা যায় এবং মাদরাসা বোর্ড সমূহের দীর্ঘকালীন অবস্থান তথা উসূলে হাশতেগানার দাবিকেও নস্যাৎ না করা হয়, সে প্রক্রিয়া অবলম্বন করার উপায় খুজে বের করতে হবে।
অনুদান প্রত্যাখ্যানে বক্তাদের সাধুবাদ জানাই: মাওলানা ওলিউল্লাহ আরমান
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও গবেষক মাওলানা ওলিউল্লাহ আরমান বলেন, আমারও দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারি এই সামান্য অনুদান ভবিষ্যতের জন্য অনেক রকমের অকল্যাণের দুয়ার খুলে দিতে পারে। তাছাড়া সরকারের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণার কারণে হিসাব করে দেখেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিন্তু কওমী মাদ্রাসা ওয়ালারা।
ভবিষ্যতে এটি আরও অনেক বড় ক্ষতির কারণ হবে। মসজিদকে যেভাবে সংকুচিত করা হয়েছে, ভবিষ্যতে দ্বীনি বড় কোন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করাটাও কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। তো এখানে অনেক রকমের ক্ষতির সম্ভাবনা এবং দুয়ার আমাদের সামনে খুলে যাচ্ছে। সুতরাং সরকারি অনুদান গ্রহণের এই বিষয় সম্পর্কে আলেম-উলামারা প্রত্যাখ্যান করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমার মনে হয় সেটাকেই আমাদের সাধুবাদ জানিয়ে জোরালো করা উচিত।
বিত্তবানরাই অনুদানের বিরোধিতা করছেন: মাওলানা মোশাররফ হুসাইন মাহমুদ
মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মাওলানা মোশারফ মাহমুদ বলেন, বর্তমান এই সংকটকালীন সময়ে কওমি মাদ্রাসায় সরকারি অনুদান অবশ্যই আসতে পারে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে যেভাবে অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কবে মাদ্রাসার প্রতি শিক্ষকও দেশের বৈধ নাগরিক। প্রত্যেকেই দেশের সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে বসবাস করে। সে ক্ষেত্রে সরকারি অনুদান কেন তারা গ্রহণ করবে না?
যারা আজ বলছেন সরকারি টাকা নেয়া যাবে না, তাদের প্রত্যেকের পারিবারিক সচ্ছলতা অনেক বেশি। এজন্য তারা এমনটি বলতে পারছেন। আমরা যদি সাধারণ শিক্ষকদের বিষয়টি বিবেচনা করি, যারা অভুক্ত না খেয়ে আছে, কষ্টে কাটছে যাদের দিনরাত, তাদের দিকে আমাদের ওলামায়ে কেরামের কোন দৃষ্টি নেই। যারা টাকা না দেওয়ার পক্ষে কথা বলছেন, তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক! তারা শিক্ষকদের সচ্ছলতার পথে নিয়ে আসুক! বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াক!
কোথায় আমরা তো তাদেরকেও দেখতে পাই না! তারা নিজেরাও দাঁড়াবে না আবার সরকার কেউ দাঁড়াতে দেবে না -এটা কেমন কথা। উনার ঘরে চুলা জ্বলছে বলে সকলের ঘরে চুলা জ্বলছে বিষয়টি এরকম নয়! এজন্য মুষ্টিময় ৪-৫ জনের কথা না শুনে, দেশের সকল শিক্ষকদের কথা বিবেচনা করে সরকারি অনুদান গ্রহণ করা উচিত। সকল ওলামা একরামের প্রাপ্য ও ন্যায্য অধিকার। সরকারের কাছ থেকে কোন অনুদান নেওয়া হচ্ছে না বরং প্রাপ্য অধিকার আদায় করা হচ্ছে।
আশা করছি আমাদের শীর্ষ আলেমরা ভেবেচিন্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন। শিক্ষকদের কষ্ট যেন কিছুটা হলেও দূর হয় এজন্য তারা সরকারি অর্থ গ্রহণ করবেন। সরকার আমাদেরকে কখনোই সহযোগিতা করেনি। সে হিসাব করতে গেলে সরকারের কাছে আমাদের পাওনা অনেক। সেখানে সামান্য অর্থ সাহায্য কোন বিষয় নয়। অবশ্যই সরকারি অর্থ গ্রহণ করা দরকার।
সংকটের সময়ে অনুদান গ্রহণ দোষণীয় নয়: মাওলানা নুরুল আলম ইসহাকি
জামিয়া মাহমুদিয়া ঢাকার মুহতামিম মাওলানা নুরুল আলম ইসহাকী বলেন, আমরা কওমী মাদ্রাসা ও কওমি বোর্ড যেহেতু অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সরকারের সহযোগী, এবং অনেক ক্ষেত্রে সরকারও আমাদের সহযোগী। এজন্য করণা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে দুই লক্ষাধিক কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক যার যার ঘরে কর্মহীন অবস্থা আমরা রয়েছি। এজন্য সরকার আন্তরিক হয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করতে চাচ্ছে। আমাদের অনুদান দিতে চাচ্ছে। এজন্য আমি মনে করি এটা দোষণীয় কিছু নয়। অনুদান গ্রহণ করা যেতে পারে।
বোর্ডের অধীনে নয়, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আসুক সহযোগিতা: সৈয়দ শামসুল হুদা
নূরবিডি ডটকম সম্পাদক সৈয়দ শামসুল হুদা বলেছেন, কওমী মাদরাসা সমূহ জনগণের সাহায্য সহযোগীতায় চলে আসছে। অতীতে অনেক মাদ্রাসায় আঞ্চলিক ভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট থেকেও কওমী মাদরাসা সমূহ সহযোগিতা গ্রহণ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের থেকে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সহযোগিতা নিতে পারে।
কেন্দ্রীয়ভাবে কোন সহযোগিতা এখন গ্রহণ করলে ভবিষ্যতে মাদ্রাসা গুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সমালোচকদের আলোচনার খোরাক যোগাবে। বাংলাদেশের সব বড় মাদ্রাসায় পরোক্ষভাবে সরকারের সহযোগিতা পাওয়ার ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে। সুতরাং ঢালাওভাবে এখন সহযোগিতা গ্রহণ ঠিক হবে বলে মনে করি না।
উসূলে হাশতেগানার দোহাই দিয়ে অনুদান ফিরিয়ে দেয়া যায় না: আলী হাসান তৈয়ব
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সহ সম্পাদক আলী হাসান তৈয়ব বলেন, আমি এটাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি। সরকারি অর্থ কোন দলের অর্থ নয়, সেটা এদেশের সমূহ জনগণের। যার মধ্যে কওমি মাদরাসার সংশ্লিষ্ট সবাই আছেন। সুতরাং রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের টাকা যা মূলত আমাদেরই টাকা সেটা নিতে আমি দোষের কিছু দেখি না।
পরিবর্তিত বিশ্বে বাস্তব অনেক কিছুর সঙ্গেই আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। সেখানে উসুলে হাস্তেগানার দোহাই দিয়ে বিশ্বের এই অভূতপূর্ব সংকটকালীন সময়ে পরিবার নিয়ে বিপন্ন হাজার হাজার মাদ্রাসার খাদেমের মানবিক প্রয়োজন বিবেচনায় না নেওয়াকে আমি সমর্থন করি না। সরকারি অনুদান গ্রহণে আমি অসম্মান বা অসুবিধার কিছু দেখি না। এটা অনুগ্রহ না অধিকার।
ওআই/সুফিয়ান ফারাবি, আবদুল্লাহ তামিম