ইসমাঈল হাবীব।।
রমজানে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবাদতের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দিতেন।হযরত জিবরিল আমিন নবীজির সাথে রমজানের প্রতিরাতে কুরআন 'দাওর' করতেন।একে অপরকে কুরআন শোনাতেন।
রমজানে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব বেশী দান করতেন।মুক্ত প্রবহমান বাতাসের মতো।দানের জন্য দু'হাত খুলে দিতেন।হাদিস শরীফে সে কথাই এসেছে।
وكان أجود ألناس , وأجود ما يكون في رمضان তিনি ছিলেন সবার চেয়ে বড় দানশীল। আর রমজান এলে আরো বেশি দানশীল হয়ে যেতেন। বুখারী শরীফ, হাদিস নং৬।
সালাত সিয়াম কিয়াম তেলাওয়াত এবং ইতিকাফে আত্মসমাহিত হয়ে যেতেন।অন্য মাসের তুলনায় এ সকল ইবাদত অনেক বেড়ে যেতো।
ইবাদতের এই ধারাবাহিকতা অবিচ্ছন্নভাবে চলতে থাকতো।তার ইবাদত-ব্যকুলতা দেখে সাহাবায়ে কেরাম ঈর্ষা-কাতর হয়ে পড়তেন, এবং অনুরূপ ইবাদত করতে চাইতেন। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে কঠোরভাবে বারণ করে বলতেন। لست كهيئتكم , اني أبيت عند ربي يطعمني ويسقيني
আমি তো তোমাদের মতো নই।আমি তো আমার রবের কাছে রাত কাটাই( তাঁর ইবাদতে মিশে একাকার হয়ে যাই)
তিনিই আমাকে পানাহার করান।
রমজানের বিশেষ মুহূর্তের অন্যতম মুহূর্ত হলো সাহরীর মুহূর্ত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহরী খেতেন।এবং সাহাবিদেরকে খেতে নির্দেশ দিতে গিয়ে বলেছেন। تسحروا فإن في السحور بركة
সবাই মিলে সাহরী খাও, সাহরীতে অনেক বরকত আছে। বুখারী, মুসলিম।
পবিত্র রমজানের রহমতের দিনগুলো আমাদের সামনে থেকে অতিবাহিত হচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তার সবটুকু রহমতের অংশীদার হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ওআই/আবদুল্লাহ তামিম