বেলায়েত হুসাইন ।।
করোনার হুমকির তুলনায় দারিদ্র্যের কষাঘাত বেশি মারাত্মক। আয় উপার্জন এবং কর্ম সংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দুস্থ-দরিদ্র, নিম্নবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্তদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। সরকারি ত্রাণ তহবিলের ডালে চালে কিছু মানুষ বেঁচে থাকলেও অনেকের ভাগ্যে তা-ও জুটছে না।
এই পরিস্থিতিতে অনেকে আবার অভাব-অনটনের কথা প্রকাশও করতে পারছেন না। একজন মাদ্রাসার শিক্ষক বা মসজিদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কীভাবেই বা তার অভাব অনটনের কথা মানুষের কাছে বলবেন? যাকে মানুষ দেখে সম্মানের চোখে। শ্রদ্ধা করে অন্তর থেকে। ভালোবাসায় হৃদয় দিয়ে, সে কিভাবে হাত পাতবে অন্যের দ্বারে?
এবিষয়টি অনেকেই না ভাবলেও কিছু কিছু মহৎ,নিঃস্বার্থ, ও হৃদয়বান মানুষকে বিষয়টি ব্যথিত করেছে। তাদের একজন হলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার এস এম আবুল কাশেম।
আল্লাহ তা'আলা তাকে যতটুকু সম্পদ দিয়েছেন তারচেয়ে অনেক বড় একটি মন দিয়েছেন তাকে। সাথে তার ওলামায়ে কেরামের প্রতি অজস্র শ্রদ্ধাবোধ- সেই অনুভূতি থেকেই এযাবৎ তার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা অনেক ইমাম মুয়াযযিন,খাদেম,মাদরাসা শিক্ষক এবং খতীব সাহেবের বিভিন্নভাবে খেদমতের ব্যবস্থা করেছেন। হজ্জে বায়তুল্লাহ ও জিয়ারতে মদীনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সবশেষ চলমান করোনা ভাইরাসের উদ্ভুত পরিস্থিতিতেও তার এলাকার আলেম সমাজের যারা নিরব অসচ্ছল তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
তার এলাকার বেশ ক'টি মসজিদের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি,মুতাওয়াল্লির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এসব মসজিদে সাপ্তাহিক তাফসীরুল কুরআনের আয়োজন করেছেন।
তার পরিচিত আলেমদের মাধ্যমে এলাকার আলেম ওলামার খোঁজ খবর নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। সে জন্যেই তিনি তার তত্বাবধানে পরিচালিত চাঁদতারা জামে মসজিদের খতিব ও বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মুফতি মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমিকে বলেন, আপনি একটু কষ্ট করে আমার পক্ষ থেকে আশপাশের মসজিদ মাদরাসার ওলামায়ে কেরামদের খোঁজখবর নিন। প্রয়োজনে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাদের পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করুন।
ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের এ উদ্যোগের বিষয়টি আমাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে। সেই অনুভূতি থেকেই মতামতটি লিখলাম।
আলহামদুলিল্লাহ! আমি খবর নিয়েছি- মুফতি কাসেমি ইঞ্জিনিয়ার এসএম আবুল কাশেমের তত্ত্বাবধানে আলেম ওলামার যথাসাধ্য খেদমত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরা দোয়া করি, আমাদের সমাজের নেতারা এমনই মানবদরদী হন, তাহলে সবাই সবার মাধ্যমে উপকৃত হবে এবং গড়ে ওঠবে একটি মানবিক সমাজ।
-এটি