ওমর ফারুক মাহমুদি: করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা এক মরণব্যাধী ভাইরাস কয়েকটি দেশ ছাড়া সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। বাদ পড়েনি আমাদের বাংলাদেশও।
দিন যত পার হচ্ছে ততই আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা হু হু করে বেড়েই চলেছে। কোথায় গিয়ে ঠেকবে এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারছে না।
যদি লকডাউনের এ অবস্থা আরও দীর্ঘ হয়, বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থাসহ তিন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, চলমান করোনাভাইরাস সংকট সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হলে বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য ‘খাদ্য ঘাটতি’ দেখা দিতে পারে এবং তাতে আরো বহু মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যেতে পারে।
এমন কঠিন মুহূর্তে যখন প্রতিটি মানুষ এক অজানা আতঙ্কে দিন রাত পার করছে, তখন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। উচ্চ মজুরি দিয়েও তারা শ্রমিক পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কৃষকের কপালে।
শ্রমিক শূন্যতা কারনে যদি এই সোনালি ফসল নষ্ট হয়, প্রথমত আমাদের জন্য রয়েছে এক বড় বিপর্যয়। কারণ আমাদের দেশের প্রধান খাবার হচ্ছে ভাত।
বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের মাদরাসাগুলো প্রতি বছরই মাদরাসার জন্য ধান কালেকশন করে থাকে। এবার মাদরাসা বন্ধ হওয়ার কারনে হচ্ছে না এ কালেকশন। একযোগে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়াতে কওমি মাদরাসার ছাত্ররা ঘরে বসে অবসর সময় পার করছে।
আর এই সময়টাই মানবতার কল্যাণে ব্যায় করার উত্তম সময়, আমরা এযাবত কাল যাদের দুয়ারে মাদরাসার জন্য ধান কালেকশনের জন্য গিয়েছি আজ আবার যাব তাদের দুয়ারে তবে ভিন্ন রূপে। আজ তাদের থেকে কিছু নিতে যাবো না। বরং স্বেচ্ছাশ্রমে তাদের ধানের বোঝা মাথায় নিব মানবতার কল্যাণে।
এ মহামারি হয়তো চিরকাল স্থায়ী হবে না কিন্তু আমাদের এ সামান্য আত্মত্যাগ জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে যুগের পর যুগ।
আসুন কওমের দুর্দিনে আমরা কওমি সান্তানেরা কওমের পাশে দাড়াই। আমারা যাদের দুয়ারে ধানের জন্য গিয়েছে আজ আবারও যাব তাদের দুয়ারে কিছু নিতে নয় বরং দিতে। এ কাজে আমি প্রস্তুত আপনি প্রস্তুত তো?
শিক্ষার্থী: ফাজিল, যাত্রাবাড়ী মাদরাসা, ঢাকা।
ওআই/আবদুল্লাহ তামিম