শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বস্তাবন্দি শিশুর লাশ, পাশে ছিল মুক্তিপণের চিরকুট আইনজীবী আলিফ হত্যায় কাউকে ছাড় নয়: ধর্ম উপদেষ্টা শীতে কাপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি কাদের মির্জার শ্যালক চট্টগ্রামে গ্রেফতার আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা এত ভয়াবহ অনেকেই তা বলতে চায় না: নাহিদ চিন্ময়সহ ১৭ ইসকন সদস্যের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের নির্দেশ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেমের স্ত্রীকে চিকিৎসকের লাঞ্ছনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনা সন্দেহে এক আলেমের প্রসূতি স্ত্রীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি প্রশমন করতে জেলা প্রশাসক দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন।

আজ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের শহীদ ডাক্তার মিলনায়তন সভাকক্ষে বিএমএ, স্বাচিপ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর স্বজনদের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন জানান, সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এখন থেকে তিনি এই রোগীর সকল চিকিৎসা করবেন বলে দায়িত্ব নিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন সকল রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামসুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, দারুল আরকাম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাজিদুর রহমান, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমী, মুফতি ইউসুফ ভূইয়া, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার শওকত হোসেন, বিএমএর সভাপতি ডাক্তার আবু সাইদসহ চিকিৎসকসহ রোগীর স্বামী মাওলানা জুনাইদ আহমেদসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামের মাওলানা জুনায়েদ আহমদ তার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে শহরের কুমারশীল মোড়ে হলিল্যাব হসপিটালে চিকিৎসার জন্য এলে চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার ওই গর্ভবতী নারীকে করোনা রোগী সন্দেহ করে তীর্যক মন্তব্য করেন।

একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা মেরে চেম্বার থেকে বের করে দেয়। তখন তিনি চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি ফিরে যান। এ ঘটনার জানাজানি হলে শহরে সমালোচনার ঝড় উঠে। দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে সোমবার বৈঠক করে বিষয়টির সমাধান করা হয় বলে জানা যায়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর