অনুবাদ: মাওলানা ইউসুফ নূর
ইমাম, কাতার ধর্ম মন্ত্রনালয়>
কুরআনের ঐর্শ্বয্য ভান্ডারের অধিকারী হওয়ায় আমরা সমৃদ্ধ। কুরআন অধ্যয়ণের সাহায্যে কিছু মনি মুক্তা আমাদের হাতে আসলে তাই আপনাদের সামনে পরিবেশন করে থাকি। বিশ্বমানবতা ও আদমসন্তানদের জন্য এটিই যথেষ্ট।
বড় বড় রাজা বাদশা পূঁজিপতি ও ধনবানদেরকে দান করার মত কোন জিনিষ যদি আমাদের কাছে থেকে থাকে, তাহলো আল কুরআন।
দুনিয়াকে নতূন কিছু দিতে পারে আল কুরআন। বিশ্ববিপ্লব ও ভাগ্যোন্নয়নের চাবিকাঠি আল কুরআন।
পবিত্র কুরআন তার অনুসারীদের ভূমিতল থেকে উঠিয়ে আকাশের উচ্চতায় পৌঁছে দেয় আর অমান্যকারীদের ধুলোয় মিশিয়ে দেয়।
মরুআরবের অন্নবস্ত্রহীন বেদুইনদেরকে এই কুরআন কোথায় না পৌঁছে দিয়েছে!! যারা ছিল উষ্ট্রচালক তারা হয়ে গেল পৃথিবীর পরিচালক। কবির ভাষায়-
خود نہ تہے جو راہ پر اوروں کے ہادی بن گئے
کیا نظر تھی جس نے مردوں کو مسیحا کردیا
‘যারা ছিল পথহারা তারা হয়ে গেল সকলের পথপ্রদর্শক
কেমন ছিল সেই দৃষ্টি,যা মৃতদের বানিয়ে দিল প্রাণের সঞ্চারক’
মহিমাময় আলকুরআনের বদৌলতে দুনিয়ার সবচে' উপণিত আরবের যাযাবর গোষ্টী হয়ে গেল পৃথিবীর সংগঠক সংরক্ষক ও শোভাবর্ধক।
তাদের পদতলে লুটিয়ে পড়ল কাইসার কিসরার রাজমুকুট ও রাজসিংহাসন। আবার তাদের কাছে এই রাজসিংহাসন ও চাটাই আসন উভয়ই ছিল সমান।
কবি বলেছেন:
در شبستان حراء خلوت گزید
قوم و آ ئین وحکومت و آفرید
ماند شبہا چشم او محروم نوم
تابہ تخت خسروی خوابیدہ قوم
‘হেরা গুহায় নবী কয়েকটি রাত কাটালেন
এক জাতি ও আইন এবং রাষ্ট্রের ভিত গড়লেন
রাসুলের কয়েকটি বিনিদ্র রজনী যাপণ
আর খসরুর সিংহাসন হলো তার
জাতির শয্যাসন।’
এভাবেই উম্মি নবীর অনুসারী গোলামদের পদানত হলো কাইসার ও কিসরার রাজত্ব। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের আশীর্বাদে মাটি ও হয়ে যায় পরশপাথর আর কুরআনের অভিশাপে পরশপাথর ও মাটিতে পরিণত হয়।এটা মহান আল্লাহর অলংঘনীয় বিধান। আলকুরআন দু'ধারী তরবারীর ন্যায়।এর যথাযথ ব্যবহার না করলে কিংবা এর অবমূল্যায়ন হলে জাতির ধবংস অনিবার্য। আল্লাহর আইন হয় অলংঘনীয়।সকল মর্যাদাবান আইনই অলংঘনীয় হয়ে থাকে। সম্মানী ব্যক্তিবর্গের কথার বিশেষ মূল্য দিতে হয়। আর রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাপ্রদর্শন ও সকলের কর্তব্য।
-এটি