রফিকুল ইসলাম জসিম
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট>
বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অবরুদ্ধ গোটা দেশ। সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পরিবহন খাতও। লকডাউনে সারা দেশে গণপরিবহন না চলায় বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে সড়ক ও নৌপরিবহনের প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক।
পরিবহনের শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় হলেও, মহামারীর এমন সংকটে মালিক ও শ্রমিক সংগঠন গুলোকে পাশে না পাওয়ার অভিযোগ শ্রমিকদের। সিলেটে কষ্টে চোখে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ট্রাক চালক আব্দুল নূর। নিজের আর পরিবারের খাবার জোগাড় করতে না পারার অসহায়ত্বের। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গেল মাসের ২৬ তারিখ থেকে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, বন্ধ হয়ে আছে সড়ক পথের ৭০ ও নৌপথের ২০ লাখ শ্রমিকের রুটি-রুজি।
পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টর বলছেন, সড়ক ও নৌপরিবহন মিলিয়ে পরিবহন খাতে নিয়োজিত তাদের ৯০ ভাগই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সড়ক ও নৌপথে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এসব শ্রমিকদের এখন দিন কাটাতে হচ্ছে বসে। ফলে বন্ধ হয়েছে উপার্জন, কাউকে কাউকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্যাকেজের আওতায় পরিবহন খাত অন্তর্ভুক্ত হবে কি না, সে বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারেননি তারা। প্রণোদনা পেলে সেটি তাদের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হতো বলে মনে করছেন তারা। তাদের একার পক্ষে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো কঠিন। এ খাতে সরকারি প্রণোদনা চাইলেন তারা।
এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবরুদ্ধ পরিস্থিতে কর্মহীন হয়ে পড়া সড়ক ও নৌপরিবহন খাতের ৯০ লাখ শ্রমিকের পাশে দাঁড়াতে বাস ও নৌ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশের সড়ক পরিবহন খাতে ৭০ লাখ শ্রমিক রয়েছে, নৌপরিবহন খাতে এই সংখ্যা আরও ২০ লাখ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পরিবহন খাত লকডাউন থাকায় এসব শ্রমিক এখন বেকার। দীর্ঘদিন পরিবহন বন্ধ থাকায় এসব শ্রমিকদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিকদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
-এটি