শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সীরাত বিশ্বকোষ কেনার অর্থে প্রতিবেশীদের ত্রাণ দিলেন মাদরাসা শিক্ষার্থী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ ইকরামুল হক
চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা প্রতিনিধি>

সম্প্রতি বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের ফলে দেশব্যাপী লকডাউনে শ্রমজীবি মানুষ আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হয়ে পড়ছে। পুরো বিশ্বই আজ অসহায়, গন্তব্যহীন এক পথচলার মতো করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। চীনের উহান শহর থেকে বিস্তারলাভ করে ভাইরাসটি বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে।

এ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ২০ লক্ষ ৫০ হাজারের অধিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলিয়ে পড়েছেন ১ লক্ষ ৩২ হাজারের অধিক। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনায় মোট আক্রান হয়েছে ১ হাজার ৫৭২ জন। তার মধ্যে ৬০ জন মারা গিয়েছে।

এমন সংকটকালীন সময়ে চট্টগ্রামের আল জামিয়া ইসলামিক পটিয়ার তাজবীদ বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ ‘সীরাত বিশ্বকোষ’ কেনার অর্থ দিয়ে নিজ এলাকা পটিয়া উপজেলার খরনায় প্রতিবেশীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে।

মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ আওয়ার ইসলামকে বলেন, সম্প্রতি সময়ে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে সমাজের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষগুলো অসচ্ছলতা হয়ে পড়ছে। আমি একটি সীরাতগ্রন্থ ক্রয় করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে কিছু অর্থ সঞ্চয় করেছি। প্রতিবেশীর অভাব ও অসচ্ছলতা দেখে সঞ্চিত অর্থে প্রতিবেশীদের সহায়তা করার প্রয়াস পেয়েছি। আমি নিজ উদ্দোগে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াসকে বাস্তবায়ণের প্রচেষ্টা হিসেবে প্রতিবেশীদের হাতে সাধ্যমতো ত্রাণ তুলে দিতে পেরে আনন্দিত।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, আমি প্রিয় পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই। আমরা সবাই নিজের সাধ্যমতো প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। নববী আদর্শের বাস্তবচিত্র তুলে ধরা হলে সমাজের কোন মানুষ অর্ধহার অনাহারে কষ্ট পাবেনা।

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, সীরাত বিশ্বকোষ ফুল ভলিউম কেনার জন্য টাকাটা রাখছিলাম, বর্তমান এই পরিস্থিতিতে আশেপাশের প্রতিবেশীদের অবস্থা দেখলাম খুবই নাজুক! তাই সিদ্ধান্ত নিলাম এই অল্প টাকাটা দিয়ে যতটুকু পারি প্রতিবেশীদের পাশে দাড়াই!

আমার সীরাত না হয় পরেও কেন যাবে, কিন্তু এদের অনেকের দেখলাম খাওয়ার মতো ঘরে কিছু নেই বললেই চলে! যেই ভাবা সেই কাজ! চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ, আলু কিনে ২৪ ঘরে বন্টন করে দিলাম! দোয়া করি, আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেন!

এই লেখাটা লেখার একটাই উদ্দেশ্য, আমার এই লেখাটা পড়ে কেও যদি দান করতে উদ্বুদ্ধ হয়, তাহলে আল্লাহর কাছে সেটাই পাওয়া।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ