উবায়দুল্লাহ তাসনিম।।
বিশ্বজুড়ে চলছে মহামারী। কোভিড-১৯। গোটা দুনিয়ায় আজ থমথমে অবস্থা৷ দেশে দেশে মৃত্যুর মিছিল থেমে নেই৷ চারদিকে লাশের সারি। যেনো মূল্যহীন।
ভয়ে কাছে আসতেও সংকোচবোধ করে আপন মানুষজন পর্যন্ত৷ জীবিতদেরও দুঃসহ যন্ত্রণা-লকডাউন, কোয়ারান্টাইন, ঘর বন্দি। কর্মহীন মানুষ আজ। অর্থনীতি মন্দার শিকার৷ ( মহামারির এই প্রাদুর্ভাব কতদূর পর্যন্ত গড়ায় তা আল্লাহই ভালো জানেন।)
মূলত: করোনা ভাইরাস আমাদের যাপিত জীবনের আমলের অনিবার্য প্রাপ্তি। যেমন কর্ম, তেমন ফল এই প্রবাদের অন্তর্ভূক্ত আজকের মহামারী। সন্দেহ করার কোন অবকাশ নেই৷ কুরআনের স্পষ্ট ঘোষণা,
ظَهَرَ ٱلْفَسَادُ فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي ٱلنَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ ٱلَّذِى عَمِلُوا۟ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।(সূরা রূম:৪১)
আল্লাহ তা'য়ালা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বান্দাকে ধরেন না। কোন কোন ক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে পাকড়াও হয়। কুরআনের ইরশাদ, وَمَآ أَصَٰبَكُم مِّن مُّصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُوا۟ عَن كَثِيرٍ
তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।(সূরা আস-শূরা,৩০)
আমরা হর-হামেশাই প্রকাশ্য,অপ্রকাশ্য নানান পাপে ডুবে আছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা আমাদেরকে পাপ ছাড়তে বলেছিলেন। আমাদেরকে পাপের শেষ পরিণামের প্রতিও সতর্ক করেছিলেন।
وَذَرُوا۟ ظَٰهِرَ ٱلْإِثْمِ وَبَاطِنَهُۥٓ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْسِبُونَ ٱلْإِثْمَ سَيُجْزَوْنَ بِمَا كَانُوا۟ يَقْتَرِفُونَ
তোমরা প্রকাশ্য ও প্রচ্ছন্ন গোনাহ পরিত্যাগ কর। নিশ্চয় যারা গোনাহ করেছে, তারা অতিসত্বর তাদের কৃতকর্মের শাস্তি পাবে।(সূরা আনআম১২০)
আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল ব্যাপক গযব নেমে আসার পূর্বেই। আল্লাহ অভিমুখী হওয়ার প্রয়োজন ছিল মহামারীতে আক্রান্ত হবার আগেই।
وَأَنِيبُوٓا۟ إِلَىٰ رَبِّكُمْ وَأَسْلِمُوا۟ لَهُۥ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِيَكُمُ ٱلْعَذَابُ ثُمَّ لَا تُنصَرُونَ
তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও তোমাদের কাছে আযাব আসার পূর্বে। এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না। (সূরা যুমার,৫৪)
কিন্তু আমরা ছাড়িনি। সতর্ক হইনি৷ ফলাফলে যা হবার, তাই হয়েছে। ফ্যাসাদ, অশ্লীলতা যখন তার চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তখন নানান বিপদ-দূর্যোগ নেমে আসে৷ মহামারী, প্লেগ, এইডস, করোনা ইত্যাদি।
এসব বিপর্যের সতর্কতা নবি করিম সা প্রায় দেড় হাজার বছর আগেই করে গেছেন, যখন কোন জাতির ভেতর অশ্লীলতার বিস্তার ঘটে এবং খোলামেলাভাবে তারা তাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তখন তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে প্লেগ এবং এমনসব রোগ যা আগে তাদের পূর্বসূরীদের মাঝে দেখা দেয়নি।(সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪০০৯)
এ হাদিসের জ্বলন্ত প্রমাণ আশির দশক থেকে নিতে পারেন৷ ১৯৮১ সালের পর আজকের করোনার মতো ' এইডস নামক একটা মহামারী আমেরিকা সহ আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ছড়িয়েছিল। এক কথায় তার বৈশিষ্ট বললে, এর মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিন শরীরের সবরকম প্রতিরোধ শক্তি শেষ হয়ে যেতো ৷ ফলত, সামান্য কোন একটা রোগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হতো ব্যক্তিকে। এ ভয়ঙ্কর রোগের কারণ হিশেবে চিকিৎসকগন দু'টি কারণ বের করেছেন ৷ ১. ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণ। ২. অবাধ যৌনাচার।
নিউইউয়র্ক টাইমসের নিবন্ধকার মার্থা স্মিলজিস(Martha Smilgis) তৎকালীন আমেরিকার অন্যতম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র 'আটলান্টারের জনৈক দায়িত্বশীল অফিসারের বরাতে লিখেন, " আমরা ১৯৬০ এর দশকে যে পাপ করেছিলাম, এখন তার মূল্য শোধ করছি৷ তখন তো অবস্থা এমন ছিল যে, রাত আসা মাত্রই কোন রকম পরওয়া না করে যৌনাচারে লিপ্ত হওয়াকে এক আকর্ষণীয় ফ্যাশন মনে করা হতো।(ইসলাম আওর হামারে জিন্দেগি,তাকী উসমানি(বাংলা, ইসলাম ও আধুনিক যুগ) খ. ১৪
ইতিহাসের পাতায় ভয়ঙ্কর অনেকগুলো মহামারী কথা পড়েছি। যাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷
ইবনে কুতাইবা 'আল মাআরিফ' গ্রন্থে আসমায়ি থেকে বর্ণাণা করেন, ১. ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম হযরত উমর রা এর শাসনামলে শামে 'তাউন'(প্লেগ-মহামারী) হয়েছিল, যার নাম 'তাউনে আমওয়াস' (طاعون عمواس)
এই মহামারিতে বিখ্যাত সাহাবি আবু উবাইদা রা, মুআয ইবনে জবাল রা এবং তার দু'জন স্ত্রীসহ একজন ছেলেসন্তান মারা যায়।
২.এরপর, ইবনে যুবাইরের যমানায়, আসে তাউনে জারিফ(طاعون الجارف)। ৩.এরপরে আসে তাউনে ফুতইয়াত (طاعون الفتيات)যেটা ব্যাপকভাবে বসরা, কুফা, শামে আঘাত হানে। ৪.তাউনে আদি ইবনে আরতাত(عدي إبن ارطاة) নামে আরেকটা তাউন আসে ১০০ হিজরীতে। ৫.এরপর, ১২৭ হিজরীতে আসে তাউনে গুরাব (طاعون غراب)।
৬. এর কিছুদিন পর আসে 'তাউনে মুসলিম ইবনে কুতাইবা'(طاعون مسلم إبن قتيبه) তবে মক্কা মদিনায় কখনো তাউন আসেনি। (শরহে নববী, সহিহ মুসলিম প্রথম খন্ড, হিন্দুস্থানি নুসখা,পৃ.১৬)
আবুল হাসান আল মাদায়িনি বলেন, ইসলামের ইতিহাসে পাঁচটা প্রসিদ্ধ তাউন (প্লেগ-মহামারী)হয়েছে। ১.নবি করিম সা এর যুগে ৬ষ্ঠ হিজরীতে মাদায়েনে হয়েছে 'তাউনে শিরওয়াইহ' (طاعون شيرويه) ২.উমর রা এর যমানায় আসে 'তাউনে আমওয়াস'(طاعون عمواس)এতে মারা গেছে ২৫ হাজার।
৩.ইবনে যুবাইরের যমানায় (৬৯ হিজরীর শাওয়াল মাসে) ব্যাপকভাবে ধেয়ে আসে 'তাউনে জারিফ' (طاعون الجارف)।তিনদিন পর্যন্ত প্রতিদিন ৭০ হাজার করে মানুষ মরে। আনাস রা এর ৮৩ জন ও আবদুর রহমান ইবনে আবু বকরের ৪০জন ছেলে মারা যায় এ মহমারীতে।
৪.এরপর, ৮৭ হিজরীর শাওয়ালে আসে 'তাউনে ফুতইয়াত' (طاعون الفتيات)। ৫.১৩১ হিজরী সনে কুফায় আরেকটি তাউন হয়। যার শুরু রজবে, রমজানে কয়েকদিন বেশি ছিল৷প্রতিদিন ১০০০হাজার জানাযা পড়তে হত।শাওয়ালে তা শেষ হয়।(প্রাগুক্ত)
কিন্তু এর কোনটাই আজকের মতো সর্বব্যাপী ছিল না৷ ওগুলো ছিল আঞ্চলিক; বৈশ্বিক না। আজকের করোনা ভাইরাস বিশ্ব ইতিহাসের ভয়ঙ্কর এক অধ্যায়। গোটা পৃথিবী একই সঙ্গে করোনার যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। মানবতা হাহাকার করছে৷ সবাই বেঁচে থাকার যুদ্ধে। বাঁচার অবলম্বন খুঁজছে সবাই।
আসলে, এসব আমাদের অধিকাংশের বদ আমলের কুফল।করোনা ভাইরাস আমাদের পাপে ডুবতে বসা মানবতার সতর্কবার্তা। তা যেনো কুরআনের সেই বাণীর নতুন বাস্তবায়ন,
فَأَصَابَهُمْ سَيِّـَٔاتُ مَا كَسَبُوا۟ وَٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنْ هَٰٓؤُلَآءِ سَيُصِيبُهُمْ سَيِّـَٔاتُ مَا كَسَبُوا۟ وَمَا هُم بِمُعْجِزِينَ
তাদের দুস্কর্ম তাদেরকে বিপদে ফেলেছে, এদের মধ্যেও যারা পাপী, তাদেরকেও অতি সত্ত্বর তাদের দুস্কর্ম বিপদে ফেলবে। তারা তা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না।(সূরা যুমার,৫১)
কিন্তু ভুগতে হচ্ছে সবাইকে। এটাই খোদায়ি বিধান। ব্যাপক শাস্তি হিশেবে যা যা নেমে আসে, তা কাউকে ছাড় দেওয়ার নয়। واتقوا فتنة لا تصيبن الذين ظلموا منكم خاصة
তোমরা (ব্যাপকভাবে নেমে আসা) ফেতনা(শাস্তি) কে ভয় করো। যা শুধু তোমাদের ঝালেমদের পাকড়াও করবে না। (অর্থাৎ সবাইকে ভুগতে হবে)। তবে বান্দা যতই পাপ করুক, আল্লাহ গাফুর, রাহিম। নিরাশ হওয়া চলবে না৷ কুরআনের বাণী,
قُلْ يَٰعِبَادِىَ ٱلَّذِينَ أَسْرَفُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا۟ مِن رَّحْمَةِ ٱللَّهِ إِنَّ ٱللَّهَ يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًا إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা যুমার,৫৩)
আল্লাহ ঈমানদারদের ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা দিয়েছেন৷
وَيَسْتَجِيبُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِۦ وَٱلْكَٰفِرُونَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ
তিনি মুমিন ও সৎকর্মীদের দোয়া শোনেন এবং তাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।(সূরা আস-শূরা ২৬)
আমাদের এখন তাওবা ইস্তেগফার ছাড়া অন্যকোন উপায় নেই। কুরআনের এ বাণীতে আমরা তাওবা কবুলের আশ্বাস পেতে পারি। وَهُوَ ٱلَّذِى يَقْبَلُ ٱلتَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِۦ وَيَعْفُوا۟ عَنِ ٱلسَّيِّـَٔاتِ وَيَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ
তিনি তাঁর বান্দাদের তওবা কবুল করেন পাপসমূহ মার্জনা করেন এবং তোমাদের কৃত বিষয় সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।(সূরা আস-শূরা,২৫)
এখন বেশি বেশি প্রয়োজন দুয়ায়ে মা'ছুরা(যেসব দুআ কুরআন হাদিসে সরাসরি শব্দে শব্দে বর্ণিত) পাঠ করার। বিপদাপদে নবীজি সা. আমাদেরকে অনেক দোয়া পড়তে বলেছেন। যেমন,
اللهم إني أحتسب عندك في مصيبتي وأجرني
فيها وأبدلني خيرا منها
(সুনানে আবু দাউদ ৩১২১, তিরমিযি৩৫১১)
মহামারি ইত্যাদি থেকে বাঁচতে প্রিয় নবীজি সা আমাদের শিখিয়েছেন, اللهم إني أعوذ بك من البرص و الجنون والجذام ومن سيئ الأسقام (আবু দাউদ, তিরমীযি)
এছাড়া দেশ ও জাতির সুরক্ষার জন্য বেশি বেশি কুরআন খতম করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত বা সমন্বিত কোন পন্থাই হোক। আরেকটা সহজ আমল করা যায়। বেশি বেশি 'দুয়ায়ে ইউনূস' পাঠ করতে পারেন।
لَّآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنتَ سُبْحَٰنَكَ إِنِّى كُنتُ مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ (সূরা আম্বিয়া,৮৭)
একটা লক্ষণীয় ব্যাপার, করোনাভাইরাস এটা ছোঁয়াচে রোগ। 'ইসলামে ছোঁয়াচে রোগের ধারণা নেই' একথা না বলে এভাবে বলা ভালো 'ছোঁয়াচে রোগ আল্লাহর হুকুম ছাড়া আপন শক্তিতে সংক্রমিত হতে পারে ইসলামে এই ধারণা নেই'। তাহলে ছোঁয়াচে রোগ সংক্রমণ হওয়া বা না হওয়ার বিপরীতমুখী হাদিসগুলোর সমন্বয়টা আপনার কথায় এসে পড়বে।
ইসলামে সচেতনতা কাম্য। এবং তা সবকিছুতেই। অনিয়ন্ত্রিত দ্বীনি আবেগের নাম ইসলাম না৷ ইসলাম হলো তার সঠিক অনুসরণের নাম৷ কোন বিষয়ের কখন কি আবেদন এবং তার প্রয়োগিক কি তা বুঝে মেনে চলার নাম সঠিক অনুসরণ৷ ধর্মীয় আচার পালনে রাষ্ট্রীয় যে বাঁধা-বিপত্তির উদ্যোগ, তা সামগ্রিক কল্যাণের খাতিরেই৷ এবং নিঃসন্দেহে ইসলামও তার সমর্থন করে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের আমজনতা ঈমানি চেতনা জাগরূক থাকার কারণে এটাকে অনেক সময় ভিন্ন চোখে দেখে। এটা ঈমানি চেতনা হলেও ভারসাম্যপূর্ণ ঈমানি চেতনা না। আমরা যারা দ্বীনের যে কোন কাজে সম্পৃক্ত, আমার মনে হয়, এসময়ে তাদের বিশেষ একটা দায়িত্ব, আম মানুষের ঈমানি চেতনাকে দ্বীনের সঠিক বুঝে প্রবাহিত করা৷
যাক, বলছিলাম রোগ-ব্যাধি ইত্যাদিতে ইসলামে সচেতনতা কাম্য। যেমন মহামারী সম্পর্কে রাসূল সা বলেছেন, 'যদি কোন অঞ্চলে তোমরা মহামারীর সংবাদ পাও, তাহলে তোমরা সেখানে প্রবেশ করো না। আর আক্রান্ত অঞ্চলে তোমরা অবস্থান করলে সেখান থেকে বেরও হবে না। ( সহিহুল বুখারি-৫৭২৭)
এই দূর্যোগপূর্ণ মহূর্তে 'বাহ্যিক কার্যকরণ' হিসেবে সচেতনতা অনেক বড়ো নেয়ামক।
করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা যেভাবে পরামর্শ দেন- সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি- সেভাবে চলা একজন সচেতন মুমিনের দায়িত্ব।
লেখক: শিক্ষার্থী তাকমিল, জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া মহাম্মদপুর, ঢাকা।
-এটি