রফিকুল ইসলাম জসিম।।
গৃহবন্দি লকডাউনের সময়টাতে অলসতার মাঝে সময়গুলো পার হচ্ছে। এই সময়ে কিছু লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে ফুটিয়ে তোলা, কিছু ইচ্ছার বিকাশ ঘটানো যায় কিনা আমি মনে মনে ভাবছি।
করোনা সংকটকালীন সময়টাকে আমার হতে পারে জীবনের স্মৃতিময়। করোনার প্রভাবে বাইরে বেরোনোও নিষেধ। এমন পরিস্থিতিতে আমার গৃহবন্দি লকডাউনে সময়গুলো কীভাবে কাটে বিস্তারিত তুলে ধরে জানাছি।
বিশ্বের করোনা আবহাওয়া আর বর্তমানের দেশে যা অবস্থা দেখে আমার মন অনেক খারাপ। সময়ও ভালো কাটছিল না। এর মাঝে শুরু হয় সরকার ঘোষিত লকডাউন। ঘর বন্দী অবস্থায় বই পড়া,টুকটাক লেখালেখি করি, বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
যখন থেকে সাহিত্যের সাথে মিডিয়ার সাথে আমি পরিচিত হই। তখন থেকেই স্বপ্ন লালন করি সমাজ এবং জাতির সর্বত্র চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ গড়ার কাছে অংশগ্রহণ করার। যেখান থেকেই তরুণরা নিজেদেরকে সর্বদিকে যোগ্য করে গড়ে তুলবে। সমাজ এবং জাতির সর্বত্র নেতৃত্ব দেবে।
দীর্ঘদিন ধরে আমার আধুনিক অঙ্গনে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া স্বপ্ন ছিল, হাটি হাটি পা এগিয়ে সেই লক্ষে দেশের ইসলামী ভাবধারার জনপ্রিয় পোর্টাল আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোর ডটকমকে স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করছি।
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। কাজেই আর্দশের প্রচার -প্রসার, প্রতিপক্ষের মোকাবেলা, প্রতিরক্ষা, শক্তিশালী সমাজ বা রাস্ট্র গঠনের সবক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি অপরিহার্য। প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। একে যথাযথ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
আমার বাড়িতে নামাজ পড়ি, আপনিও আপনার বাড়িগুলোকে মসজিদ বানিয়ে নেই আপাতত। বাড়ির দেয়ালগুলো আল্লাহ’র জিকিরে মজবুত যেন হয়। আমাদের ঈমান আমাদের রবের ওপর বিশ্বাস এবং নির্ভরতায় পরিপূর্ণ হোক। এই দুর্যোগ ক্ষণস্থায়ী হোক। আল্লাহ’র সাহায্য প্রার্থনা করুন, নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখুন।
দেশব্যাপী মানুষ গৃহবন্দি থাকার কারণে বহু সাধারণ মানুষই আছেন, যাদের দীর্ঘদিন ঘরে বসে খাওয়ার মতো সাধ্য নেই। একেবারে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের বের তালিকা তৈরি করে জনপ্রতিনিধিদের আলাপ করে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সহায়তা করে যাচ্ছি।
দেশের মানুষ ও পুরো পৃথিবী কঠিন সময় পার করছে এখন। লেখার হাত যে যতই হোক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইতিবাচক যেকোনো বিষয়ে আপনি লিখুন। যারা পত্রিকা-অনলাইনে লেখেন, তারা সচেতনতামূলক লেখালেখিতে সময় ব্যয় করুন। আল্লাহ’র ওয়াস্তে বাড়িতে থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
-এটি