শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


করোনা আতঙ্কে লামায় ৪ বাড়ি লকডাউন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিজানুর রহমান
বান্দরবান (লামা) থেকে>

করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন এলাকা লকডাউন করেছে প্রশাসন। এতে শ্রমিক ও যানবাহন চালকরা কর্মহীন হয়ে পড়ছে। ফলে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসায় বান্দরবানের লামার ৪টি বাড়ি  লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত এসব বাড়ি লকডাউন করা হয়।

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) নূর-এ জান্নাত রুমি এই ৪টি বাড়ি লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন করে।

জানা যায়, লামা মেরাখোলার আব্দুস শুকুর (৩৮) নামে এক সিএনজি চালক গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি ফিরেন। পরদিন শুক্রবার একই এলাকার জামাল উদ্দীন (৪০) নামে এক শ্রমিক বোয়ালখালী থেকে বাড়ীতে ফিরেন।

স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি চালক ও জামাল উদ্দীনের পরিবার তাদের বাড়িতে আসার কথা গোপন করতে চাইলেও বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এতে পুরো এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে আজ দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে দুজনের বাড়ীতে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করে।

এদিকে লামার পৌরসভার লালামুখ এলাকায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য সন্দেহভাজন ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লামায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন না থাকায় সন্দেহভাজনদের নিজ বাড়িতে আলাদা কক্ষে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

জানা যায়, সন্দেহভাজনরা হলেন- মুহা. ফারুক ও মুহা. রাশেদ। উভয়েই নারায়ণগঞ্জ ফেরত।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মিজানুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ ফেরত দুই জনের বাড়িতে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরিবারের লোকজন বাহিরে যাবে না এবং কেউ তাদের বাড়িতে যাবে না।

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক জানান, আজ বেলা ১১ টায় লামা পৌরসভার ৫ ওয়ার্ডের লামামুখ এলাকা হতে নারায়ণগঞ্জ ফেরত ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বান্দরবান জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে নমুনা গুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকা আইইডিসিআর সেন্টারে পাঠানো হবে।

তিনি আরও জানান, ইতিপূর্বে লামায় ২৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ায় এবং কোন লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় তাদের অবমুক্ত করা হয়েছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি জানান, বিদেশ ফেরত ও করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হতে আসা লোকজনকে সনাক্ত করে তাদের পারিবারিক হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগিতাও করা হচ্ছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ