মুহাম্মদ ইমদাদুল হক ফয়েজী
কঠিন সময়! পুরো বিশ্ব প্রায় অচল, স্থবির। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র করোনাভাইরাস বিস্তৃত হচ্ছে পৃথিবীর সকল দিক-দিগন্তে।আক্রমণ করছে অসংখ্য মানুষকে। এপর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় পনের লক্ষ মানুষ, মৃত্যুবরণ করেছেন বিরাশি হাজারের অধিক। এ মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। কোথায় গিয়ে এবং কখন এটির ইতি ঘটবে প্রযুক্তির উর্বর যুগেও নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে অক্ষম।
বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত এ বিষয়ে কারোও কিছু জানা নেই। বিশ্ব পরিস্থিতি বলছে, সহসাই থামছে না এ মহামারী। সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে দেশে দেশে চলছে লকডাউন কিংবা কারফিউ। এমনকি নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন দেশের মসজিদসমূহে নামাজ আদায় করা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে কিংবা সীমিত পরিসরে সালাত আদায় করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, কিভাবে এ মহামারীর প্রকোপ থেকে স্বদেশ ও জাতিকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখা যায়।
বলা বাহুল্য, এতে আমাদের জীবনযাত্রার অনেক অনেক ক্ষতি হলেও মূলত তা বৃহত্তর কল্যাণের লক্ষ্যেই করা হচ্ছে, সাময়িক এ কষ্ট দীর্ঘ সুখের জন্য, আমাদের সকলের সুন্দর, নিরাপদ আগামী দিনের জন্য আজকের লকডাউন বা গৃহে অবস্থান। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ক্রমশ এটির মাত্রা দীর্ঘ হচ্ছে এবং কঠিন রুপ ধারণ করছে।
আমরা সকলেই জানি- জনগণ ব্যতিত, এককভাবে সরকারের পক্ষে কোনো কাজে সফলতা অর্জন প্রায় অসম্ভব। এক্ষেত্রে সকল কর্তাব্যক্তি ও সর্বস্তরের জনগণের গুরুদায়িত্ব হচ্ছে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলা, নির্দেশিত বিষয়ের ওপর চলতে একে অপরকে উৎসাহিত করা, ক্ষেত্রবিশেষ চাপ সৃষ্টি করা।
আমাদেরকে বাস্তবতা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে এবং সজাগ-সচেতন থাকতে হবে। প্রাণরক্ষা, দেশ ও জাতির সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রাষ্ট্রের তথা আমাদের নিজেদের কল্যাণ সাধনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। নিজ নিজ ঘরে অবস্থান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ আমাদের যা যা করণীয়, সবই করতে হবে। এর কোনোও বিকল্প নেই।
আসুন, দেশ ও জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করি। যে কোনো প্রকার ক্ষতি, অকল্যাণ রোধে সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত থাকি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের সুরক্ষা করুন। বিশ্ববাসীকে ক্ষমা ও অনুগ্রহ করুন।
-এটি