রফিকুল ইসলাম জসিম।।
৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পালিত হতে যাচ্ছে শবে বরাত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ইবাদতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতিতে ভিন্নভাবে পালন হবে পবিত্র এ রাত৷
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শুরু থেকেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেকোনো বড় জনসমাগম এড়িয়ে চলার৷ এমনকি জরুরি কাজ ছাড়া বাসার বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে জনগণকে৷ সাধারণ ছুটি চলছে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত৷ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদেরও বাসায় থেকে নামাজ পড়ার অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে৷
বাংলাদেশের বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান বলছেন, ‘সতর্কতা অবলম্বন করাই আল্লাহর নির্দেশ, বিশেষ করে যখন কোনো মহামারি দেখা দেয়, সে অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ নির্দেশ রয়েছে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার৷ ফলে আমরা মসজিদেও যখন নামাজ আদায় করছি, সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছি৷ তাছাড়া অসুস্থ, বয়স্ক, বিদেশ থেকে আসা নাগরিক ও তাদের আশেপাশের মানুষদের আমরা বলছি মসজিদে না এসে বাসায় নামাজ আদায় করুন৷ একই সঙ্গে জুম্মার নামাজের ক্ষেত্রেও আমরা বলছি, মসজিদে না এসে পারলে বাসায় জোহরের নামাজ আদায় করুন৷’
কিন্তু শবে বরাতের রাতে সাধারণত বিপুল সংখ্যায় মুসল্লিরা বিভিন্ন মসজিদে জমায়েত হয়ে ইবাদত করে থাকেন৷ এমন পরিস্থিতিতে জমায়েত এড়ানোর উপায় কী?
এ ব্যাপারেও বিশেষ নির্দেশনার কথাই জানালেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম৷ তিনি বলেন, যেহেতু পরিস্থিতি এখনও উন্নতির দিকে আসেনি, সতর্কতা অবলম্বন এখনও অনেক জরুরি৷ শবে বরাতে আমরা মানুষের মধ্যে বিশেষভাবে ইবাদত-বন্দেগি করার আগ্রহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করি৷ মসজিদেও বড় আকারের জমায়েত হয়ে থাকে৷
কিন্তু এবারের শবে বরাতে দ্বীনদার মুসল্লি ভাইবোনদের কাছে আমাদের অনুরোধ এই পরিস্থিতিতে আমরা মসজিদে জড়ো হব না৷ বরং আমরা যার যার অবস্থানে বাসায় থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবো, ফরিয়াদ জানাবো যাতে এই মহাবিপদ থেকে তিনি আমাদের উদ্ধার করেন৷'
দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে পরামর্শ করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই বার্তা দেশের মানুষের কাছে জানানো হয়েছে বলেও জানান বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম৷ বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের কাছেও এ বার্তা এরই মধ্যে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি৷
-এটি